কালকিনিতে একমন ধানেও মিলছেনা ১জন ধান কাটা শ্রমিক মাদারীপুর / 
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। কারন এ উপজেলায় চরম শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারনে সময় মত ধান কাটতে পারছে না অনেক কৃষক। এদিকে প্রতিনিয়ত ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পাকা ধানের। কৃষকদের একমন ধানের দামেও মিলছেনা ১জন শ্রমিক। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে, চলতি বোরো মৌসুমে কালকিনি উপজেলায় ১২ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি গড়ে ৬ থেকে ৮ মেট্রিক টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
জানাযায়, সরকারী হিসাব মতে বাজারে প্রতিমন ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা।
কিন্তু শ্রমিক জন প্রতি মজুরী দিতে হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে গ্রহস্তের শুধু ধান কাটাতেই প্রতিমনে ধানের খরচ পড়ছে ৮০০ টাকা। অন্যান্য খরচতো (জমি চাষ, সেচ, চারা, সার, কীটনাশক ও শ্রমিক) আছেই। চলতি বোরো মৌসুমে ঝড়, শিলাবৃষ্টি, পোকামাকড়, রোগবালাই নিয়ে কৃষকরা ছিল মহাবিপাকে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ বছর শ্রমিকের মজুরী বৃদ্ধি থাকায় অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ধান কাটার কাজ করছে। প্রতিটি এলাকায় কম বেশি বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। গোপালপুর ইউনিয়নের কৃষক মাজেদ মাতুব্বর জানান, আমি এবার ৮বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। বাজারে ধানের চাহিদা ও বাজারে মূল্য কম থাকায় আমাকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমাদের প্রতিমন ধান পেতে খরচ হচ্ছে ৮শ থেকে ৮শ ৫০টাকা। কিন্তু বিক্রি করতে হচ্ছে কম দামে। এরকম লোকসান হলে ভাবছি আর ধানের আবাদ করবোনা।
এ ব্যাপারে উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, বোরো ধানের দাম কম থাকায় আমরা কৃষকদের ধান ভালোভাবে শুকিয়ে সংরক্ষন করার পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে করে সংরক্ষিত ধান পরে বিক্রি করে দামটা ভালো পায়।