Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

দুর্গাপুরে ক্ষুদে শিক্ষার্থীর আবিস্কার তেল ছাড়া চলবে এসকেভটর নারী ও শিশুনেত্রকোনা

দুর্গাপুরে ক্ষুদে শিক্ষার্থীর আবিস্কার তেল ছাড়া চলবে এসকেভটর

নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌরশহরের আদর্শ বিদ্যাপিঠ দি চাইল্ড প্রিপারেটরী স্কুলের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী মোঃ শাহরিয়ারের আবিস্কারে ধরা পড়লো কোন প্রকার জ্বালানী ছাড়াই চলবে বিশাল এসকেভেটর মেশিন।

এ নিয়ে সোমবার দুপুরে শাহ্রিয়ার স্থানীয় সাংবাদিকদের জানায়, কোন প্রকার জ্বালানী ও শব্দ ছাড়া শুধু বাতাস ও পানি ব্যবহার করেই চলবে মাটি কাটার বড় মেশিন এসকেভেটর। তাঁর আবিস্কৃত যন্ত্রটি চালানোর মাধ্যমে দেখা যায়, শুধুমাত্র পানি ও বাতাস সম্বলিত ৬টি ভেকম ব্যবহার করার মাধ্যমেই চলবে এ যন্ত্রটি। ২টি ভেকম ডানে এবং বায়ে চলার জন্য, আর ৪টি মাটি কাটা ও মাটি ফেলার কাজে ব্যবহার হবে। শাহরিয়ার, ভেকম গুলোর পরিবর্তে মিডিয়াম সাইজের ইনজেকশনের সিরিঞ্জে পানি ও বাতাস ব্যবহার করে যন্ত্রটি চালিয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। 

সে জানায়, সিরিঞ্জ এর পরিবর্তে এখানে স্টিলের পাইপ এবং পানির কমপ্রেসারের জন্য প্রেসার যাতে লিক না হয়, সেখানে ভালো মানের ওয়েলসেল ব্যবহার এবং সিরিঞ্জের চাপস্টিকের জায়গাতে স্টিলের হাতল বসানোর মাধ্যমেই এ মেশিন চালানো সম্ভব। স্কুলের শ্রেনী কক্ষের টেবিলে উপস্থিত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাংবাদিকদের সামনে শাহরিয়ার তাঁর আবিস্কার সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেন। তাঁর পরবর্তি ভাবনা আরো প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ মেশিন দ্বারাই একচাপে ১শত থেকে ১২০টি ইট বানানো সম্ভব। সে সাধারণ ও শ্রমজীবি মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করেই এ আবিস্কার নিয়ে ভাবছে। শাহরিয়ার বড় হয়ে দেশের সেবা করতে চায়। সে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্যে বলে, সময়কে অপচয় না করে নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে ভাবতে। সরকার যদি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলাদা ভাবে সাংস্কৃতিক ও বিনোদন র্চ্চাকেন্দ্র খুলে দেন, তাহলে মেধা বিকাশের পাশাপাশি নতুন উদ্ভাবনে শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে।    

স্কুল শিক্ষক দীপা রায় জানান, শাহরিয়ার এর বাবার নাম শামছুল হক ও মায়ের নাম সায়লা আক্তার। সে ছোট বেলা থেকেই মেধাবী হওয়ায় সব সময়ই নতুন কিছু নিয়ে ভাবতে আনন্দ পায়।