Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

চিরিরবন্দরে ব্লাস্ট রোগ দমনে কাজ করছে কৃষি বিভাগ কৃষি সংবাদদিনাজপুর

চিরিরবন্দরে ব্লাস্ট রোগ দমনে কাজ করছে কৃষি বিভাগ

বৈরী আবহাওয়ার কারনে সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ক্ষেতে নেক ব্লাস্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় ছত্রাক জাতীয় এ রোগের সংক্রমন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের নিরলস প্রচেষ্টায় এ রোগ অনেকটায় নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে নেক ব্লাস্ট রোগের সংক্রমন দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ১৮ হাজার ৭ শত ৪ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।      

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে কৃষকের দ্বার প্রান্তে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: খাদেমুল ইসলাম জানান, অফিস থেকে আমাদের সাধারন ছুটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা বন্ধের দিনেও বিভিন্ন জায়গায় কৃষক কষাণীগণের সঙ্গে দলীয় আলোচনা, উঠান বৈঠক করছি। তাছাড়া অফিস থেকে কৃষি পরামর্শ হিসাবে প্রিসক্রিপশন সরবরাহ করা হয়েছে। যা আমরা কৃষকদের মাঝে বিতরণ করছি। তিনি আরো বলেন, বৈরী আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবের কারনে এ রোগের সংক্রমন দেখা দিয়েছে । তবে আমরা কৃষি উপ-সহকারীদের চেষ্টায় এ রোগ এখন নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।

আলোকডিহি ইউনিয়নের কৃষক নছির উদ্দিন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সঠিক সময়ে এ রোগ বুঝতে না পারায় আমার ১ বিঘা জমিতে এ রোগের সংক্রমন দেখা দিয়েছে। পরে কৃষি বিভাগের নিয়মিত পরামর্শে বালাইনাশক স্প্রে ব্যবহার করে আমার বাকি ধান ক্ষেত গুলো এখনো সতেজ রয়েছে।

সাতনালা ইউনিয়নের মাষ্টার পাড়া গ্রামের কৃষক রাজু, জাকির, আরিফ, নজরুল, নশরতপুর ইউনিয়নের শহিদ, মামুন, ফতেজংপুর ইউনিয়নের খাড়িপাড়া গ্রামের সালাম, রহমান, ফয়জারসহ আরো অনেকে জানান, প্রথম দিকে এ রোগ দেখা দিলেও কৃষি উপ-সহকারীর দেয়া পেসক্রিপশন অনুযায়ী স্প্রে করে ব্লাস্ট  সংক্রমন থেকে ধানক্ষেত এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে এসেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, ব্লাস্ট রোগ একটি ছত্রাক জনিত রোগ। এটি বৈরী আবহাওয়ায় দ্রুত বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায় । তবে সঠিক সময়ে যদি সঠিক বলাইনাশক স্প্রে  করা যায় তবে এ রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব। আমাদের কৃষি বিভাগের সকল উপ-সহকারীরা কৃষকের পাশে থেকে  লিফলেট ও প্রসক্রিপশন সহ সব রকমের পরামর্শ দিচ্ছে। যাতে নতুন করে কোন ধানক্ষেত আর এ রোগে আক্রান্ত না হয়।