পাইকগাছায় ৩ ইস্যুতে আ’লীগের একাংশের পথসভা ও মানববন্ধন খুলনা / 
পাইকগাছায় ৩ ইস্যুতে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠণের ব্যানারে পথসভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে পৌর বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে সংগঠণের একাংশের নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। সম্প্রতি নতুন বাজারে প্রতিপক্ষদের হামলা-মারপিটে নিহত রাসেল হত্যা মামলার আসামী আজু মোল্লা ও গংদের গ্রেপ্তার, কলেজ শিক্ষক আ’লীগনেতা আব্দুল ওহাব বাবলুর দিকে পৌর আ’লীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য শেখ কামরুল হাসান টিপুর পিস্তল তাক করা ও ১৬ এপ্রিল আ’লীগের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের উপস্থিতিতে জনসভায় একাধিক মামলায় জড়ানো বাবু গাইনের ও তার ভাই কামরুল গাইনের যোগদানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
তবে এ কর্মসূচিতে নিহতের রাসেলের পরিবারের কেউ বক্তব্য রাখেনি ও কলেজ শিক্ষক আব্দুল ওহাব বাবলু উপস্থিত ছিলেন না। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীরের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবলীগনেতা শেখ আনিছুর রহমান মুক্ত’র পরিচালনায় এ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগনেতা এমপিপুত্র শেখ মনিরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস, দিবাকর বিশ্বাস, বিজন বিহারী সরকার, গোলক মন্ডল, জেলা পরিষদ সদস্য নাহার আক্তার, দেবব্রত রায় দেবু, উত্তম কুমার দাশ, জালাল উদ্দীন, আসিফ ইকবাল রনি, সঞ্জয় ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মশিউর রহমান। সভায় পৌর মেয়র ও কয়েকজন বক্তা কামরুল হাসান টিপুকে সাবেক শিবিরনেতা উলেখ ও কলেজ শিক্ষকের দিকে পিস্তল তাক করার অভিযোগ এনে লাইসেন্স বাতিল ও ১৬ এপ্রিল অর্থ উপদেষ্টার জনসভায় উপস্থিতি কামরুল ও বাবু গাইন যোগদানের বিষয়টি ব্যাপক সমালোচনা করা হয়। আ’লীগের ব্যানারে এ পথসভা ও মানববন্ধন সম্পর্কে উপজেলা কমিটির আহবায়ক গাজী মোহাম্মদ আলী জানান, এ সভা সম্পর্কে দল বা আমি অবহিত নই। যারা যোগদান করেছেন ভাল-মন্দ দ্বায়ভার তাদের উপর। সাবেক ছাত্রশিবিরনেতা উলেখ করে শেখ কামরুল হাসান টিপুর সমালোচনার জবাবে তিনি উল্টো পৌর মেয়রকে সাবেক শিবিরনেতা উলেখ করে বলেন, আমার পিতা একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। বর্তমান বড় ভাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। আমি কোন পরিবারের লোক এলাকার মানুষ ভালই জানে। এত দেখছি, ‘মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি’।
প্রভাষক আব্দুল ওহাব বাবলু জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, লোকমুখে শুনেছি মানববন্ধনের কর্মসূচি পালিত হয়েছে।