Opu Hasnat

আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার ২০২৪,

বালিয়াকান্দি পাংশা সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা রাজবাড়ী

বালিয়াকান্দি পাংশা সড়ক যেন মরণ ফাঁদ, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি-পাংশা সড়কে উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের ঘোষখালী পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা, এসব দুর্ঘটনায় নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। বড় বড় গর্ত ও খনাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচল করছে চরম ঝুকির মধ্যে দিয়ে। এমনকি এই সড়ক দিয়ে রোগী পরিবহনে ও হচ্ছে সমস্যা। 

জানাগেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার চৌরঙ্গী মোড় থেকে নারুয়া ইউনিয়নের ঘোষখালী পর্যন্ত সড়কটি প্রায় ১৫ কিলোমিটার। এ সড়কটি দিয়ে নারুয়া, বালিয়াকান্দি, জঙ্গল ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকার লক্ষাধীক লোক ও কয়েকশত যানবাহন প্রতিদিন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলাচল করে। সড়কটিতে বড় বড় গর্ত, খনাখন্দ সৃষ্টি হওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানি জমে যাচ্ছে সড়কে। 

বালিয়াকান্দি বাজারের বাসিন্দা নিরুত বালা জানান, এই সড়কটি এখন আর চলাচলের উপযোগি নেই, এই সড়কে রোগী পরিবহনে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, দেখার যেন কেউ নেই, সুস্থ্য মানুষ চলাচল করলেও অসুস্থ্য হয়ে পড়তে হয়।  

ব্যটারি চালিত অটো চালক করিম মোল্লা জানান, এই সড়কে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। তাছাড়া নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যত্রাংশ। যাত্রী ও মালামাল পরিবহনে বিভিন্ন প্রকার সমস্যা হচ্ছে।

বালিয়াকান্দি বাজারের জিরো পয়েন্টে সরেজমিনে দেখা যায়, সেখানে সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পানি জমে আছে। রাস্তার দুই পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা জানান, সড়কে অচলাবস্থা সামান্য বৃষ্টি কাদা পানি চলে আসছে দোকানে যে কারনে কমে গেছে ক্রেতার সংখ্যা।

বালিয়াকান্দি উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সজল কুমার দত্ত জানান, ওই সড়কটি প্রসস্ত করার সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। স্ব স্ব দপ্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। এডিপির অর্থায়নে খুব তারাতারি কাজ শুরু হবে।  

বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, বালিয়াকান্দি ভায়া নারুয়া পাংশা সড়কটি এখন খুব খারাপ অবস্থা। এই সড়কটি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক ( এডিপির ) অর্থায়নে প্রসস্ত করা হবে। যেহেতু বৈদেশিক ফান্ড কাজের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। সব ধাপ পেরিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত হয়তো কাজ শুরু হবে।  

দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি চলাচলের উপযোগি করা হবে এমনটাই আশা করছেন এলাকাবাসী, চালক ও ব্যবসায়ীরা।