Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত লোড শেডিং রাজবাড়ী

রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত লোড শেডিং

গ্রীষ্মের তাপদাহ শুরু হতে না হতেই রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত লোড শেডিং। এতে করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। এর উপর রয়েছে বৈরি আবহাওয়া। গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিনই ঝড়ো বাতাস সাথে বৃষ্টিপাত হচ্ছে রাজবাড়ীতে। ঝড়ো বাতাসে সড়কের পাশে থাকা গাছ পড়ে যাওয়া এবং বিদ্যুতের তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারনে গত বুধবার ৮ ঘন্টা বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ সার্ভিস।

রাজবাড়ী বাজারের ব্যবসায়ী রবি দাস জানান, প্রায় প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ ঘন্টা থাকছে না বিদ্যুৎ এতে করে গরমের মধ্যে হাত পাখার বাতাস নিতে হচ্ছে। তাছারা তিনি একজন দর্জির কারিগরি তার দোকানে থাকা পাঁচটি সেলাই মেশিন যা চলে মেশিনের সাহায্যে। বিদ্যুৎ না থাকায় কারিগররা বসে থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা এতে করে সময় মত কাস্টমারদের পোশাক সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে করে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাকে।

রাজবাড়ী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী অনিক দাস জানান, রাতে ঝড় শুরু হওয়ার আগেই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয় যে কারনে পড়া শোনার ব্যঘাত ঘটছে চরম ভাবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এইচ এস সি পরীর্ক্ষীরা।

রাজবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও ওয়েন্ট জোন পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) মোট গ্রাহক রয়েছে প্রায় দুই লক্ষ।

ওয়েন্ট জোন পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) রাজবাড়ীর সাবস্টেশন সুত্রে জানা গেছে, তাদের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪৩ হাজার ২ শত ১২ জন। এই গ্রাহকের জন্য প্রতিদিন ২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও পাওয়া যাচ্ছে ১৭ মেহাওয়াট বিদ্যুৎ।

রাজবাড়ীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেলারেল ম্যানেজার মোঃ কামরুল ইসলাম গোলদার জানান, রাজবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মোট গ্রাহক ১ লক্ষ ৫১ হাজার। এই গ্রাহকের জন্য দিনের বেলায় ১২ মেগাওয়াট এবং রাতের বেলায় ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তুু পাওয়া যাচ্ছে ১২ মেগাওয়াট। যে কারনে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘন্টা লোড শেডিং থাকছে। এছারাও ঝড়ের কারনে গাছপালা পড়ে গেলে তখন দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। শুক্রবারের ঝড়ে অনেক স্থানে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে কারনে সরবরাহ বন্ধ করে শনিবারও কাজ করা হচ্ছে।