Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

দৌলতপুরে তালবাড়িয়া জলমহালে অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ! কুষ্টিয়া

দৌলতপুরে তালবাড়িয়া জলমহালে অবৈধভাবে মাছ শিকারের অভিযোগ!

দীর্ঘ মামলার পর সুপ্রিম কোটের নির্দেশে অবশেষে তালবাড়িয়া মৎস্যজীবি সমিতি তাদের বিল ফিরে পেয়েছে। 

আদালতের নির্দেশে সোমবার দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিলটির দখলদারী বুঝিয়ে দেয় তালবাড়ীয়া সৎসজীবি সমবায় সমতির সদস্যদের কাছে। এবং মাছের পোনা অবমুক্ত করে উদ্বোধন করেন তালবাড়ীয়া মৎস্যজীবি সমিতি। তবে আশার বাতি যেন জ্বলেও আবারো নিভে গেছে এই প্রান্তিক মৎস্যজীবিদের। 

তালবাড়িয়া মৎস্যজীবিদের অভিযোগ, প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিজে এসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে তালবাড়িয়া বিলে মাছ শিকার করছে। এই নিয়ে আবারো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সুপ্রিম কোটের রায়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিলটি তার প্রকৃত পাওনাদারদের বুঝিয়ে দিলেও দৌলতপুর থানার ওসি শাহ দারা খাঁন বিলে উপস্থিত হয়ে প্রভাবশালীদের নিয়ে অবৈধ ভাবে মাছ শিকার করছে। 

তালবাড়িয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি চান্দু জানান, মহামান্য বিজ্ঞ সুপ্রিম কোর্ট আমাদের পক্ষে বিলটি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য রায় দেয়। পরে সোমবার দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিলটির দখলদারী বুঝিয়ে দেয়। তার পর থেকেই কথিত শাপলা সমিতি পুলিশকে টাকা দিয়ে অবৈভাবে মাছ ধরছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা মাছ ধরছে। আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এর সুষ্টু বিচার কামনা করছি। 

শাপলা মৎসজীবি সমিতির সভাপতি আব্দুল জানান, পুলিশের নির্দেশেই আমরা মাছ ধরছি। এতে আমাদের কিছুই করার নাই। 

তবে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খাঁন জানান, আদালত কি নির্দেশ দিয়েছে তা আমরা জানি না। তবে আমরা মাছ ধরার কাছে নিয়মিত যায় নিরাপত্তার জন্য। সেখানে যাতে কোন অপৃতিকর ঘটনা না ঘটে এজন্য পুলিশ মোতায়েন থাকে। 

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌফিকুর রহমান জানান, আমরা আদালতের নির্দেশে বিলটি তালবাড়িয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি। তারপরে ওসি কিভাবে মাছ ধরছে সেটা ওসিই বলতে পারেন।