রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের দক্ষিণ চৌবাড়িয়া গ্রামে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের অভিযোগে দুইজনকে আসামী করে বুধবার দিবাগত রাতে রাজবাড়ী সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগি (১৮)। মামলায় মহিউদ্দিন (২৫) ও হান্নান বিশ্বাস (৪০) নামে দুইজনকে আসামী করা হয়েছে। মহিউদ্দিনের বাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বারমল্লিকা গ্রামে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী হান্নানের আত্মীয় মহিউদ্দিন। প্রায় বছর খানেক আগে মেয়েটির সঙ্গে মহিউদ্দিনের বন্ধুত্ব হয়। মুঠোফোনে কথা বলায় তাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ট হয়। মহিউদ্দিন তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। ভূক্তভোগির ভাবীর সন্তান প্রসবজনিত কারনে রাজবাড়ীর একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তি আছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে মহিউদ্দিন তাদের বাড়িতে আসে। বাড়ির লোকজন সবাই ক্লিনিকে ছিলো। এসময় মহিউদ্দিন তার ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করে। হান্নান বাড়ির বাইরে পাহারায় ছিলো। এক পর্যায়ে তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। তারা মহিউদ্দিনকে আটক করলেও হান্নান পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মীমাংসার কথা বলে। কিন্তু কালক্ষেপন করে আসামীকে নিয়ে পালিয়ে যায়।

রাজবাড়ী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল্ তায়াবীর বলেন, বুধবার দিবাগত রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভূক্তভোগিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আসামী পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।

মামলার প্রধান আসামী মহিউদ্দিনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আলী আহসান তুহিন বলেন, ওই ভূক্তভোগি হাসপাতালে এসেছে। বিষয়টি অবগত হয়েছি। কিন্তু এখনো পুলিশের পত্র হাতে পাইনি। পত্র হাতে পাওয়ার পর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।