তরুণ সাংবদিক এ কে জয়ের শুভ জন্মদিন আজ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন /  গোপালগঞ্জ / 
কোনো জনপদের চিন্তাধারার প্রতিনিধি, কণ্ঠস্বর, বিবেকের অনুশাসন হিসেবে কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সৃজনশীল প্রতিটি মানুষই ভূমিকা রাখেন। তেমনি একজন তরুন সাংবাদিক সময়ের সাহসী তরুন সাংবাদিক এম আরমান খান জয় (এ কে জয়)। এ সময়ের সাহসী সংগঠন গোপালগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম আরমান খান জয় (এ কে জয়) এর ২২ তম জন্মদিন আজ।
যেখানে অন্যায় অত্যাচার, অপরাধ, দুর্নীতি, দুঃশাসন সেখানেই নির্ভীক, সাহসী, এক সাংবাদিকের পদচারণ। যে কোন মূল্যেই তিনি তুলে নিয়ে আসবেন ঘটনার অন্তরালের মূল ঘটনা। অপরাধ ও অপরাধী যত গভীরেই থাকুক না কেন সেখান থেকেই তিনি তার চতুরতা, একনিষ্ঠ কর্মদক্ষতা দিয়ে টেনে বের করেন লুকানো সেইসব অপরাধীদের। তাদের মন্দ কাজের সকল আমলনামা। তুলে ধরেন দেশ ও জাতীর সম্মুখে। যিনি সত্যর সন্ধানে রত নির্ভীক সাংবাদিক, জীবনে সুখ বিলাস লোভে মোহ ত্যাগের প্রতীক। সহজ সরল জীবন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিহাদি। অপরাধ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার অপ্রতিদন্ধি। অন্যায়ের সাথে কখনোই আপোষ করে না যিনি তিনি আর কেউ নয়। তিনি এ সময়ের প্রিয় প্রতিবাদী কবি ও ক্রাইম রিপোর্টার সকলের প্রিয় ব্যক্তি এ কে জয়।
আজকের আকাশে অনেক তারা, দিন ছিল সূর্যে ভরা। আজকের জোসনাটা আরও সুন্দর,সন্ধ্যাটা আগুন লাগা। আজকের পৃথিবী তোমার জন্য, ভরে থাকা ভাল লাগা। মুখরিত হবে দিন গানে গানে, আগামীর সম্ভাবনা। আপনি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছন তাই শুভেচ্ছা আপনাকে, তাই অনাগত খন হোক আরও সুন্দর উজ্জ্বল দিন কামনায়।
আজকের এই দিনে এক শুভ ক্ষণে ১৯৯৬ সালের ১৫ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কাঠী ইউনিয়নে কাঠী পূর্ব পাড়ায় খান বাড়ির এক সম্ভান্ত পরিবারে মায়ের কোল জুড়ে ভূমিষ্ঠ হয় এক নবজাতক শিশু। আর সেই নবজাতক শিশুটি আজকের স্বনামধন্য ক্রাইম রিপোর্টার ও সকলের প্রাণ প্রিয় এ কে জয়। এ সময়ের অপরাধ সাংবাদিকতায় গোপালগঞ্জে কয়েকজন ঈর্ষান্বিত সাংবাদিকের মধ্যে এ কে জয় নামটি বেশ পরিচিত ও অন্যতম।
সাংবাদিকতার শুরুটা ২০১২ সালে করেন তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা লেখির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। আর সেই থেকেই সাংবাদিকতার হাতেখড়ি পেয়েছিলেন এ কে জয়। সাংবাদিকতার মত মহান পেষা ছেড়ে অন্য কিছুই চিন্তা বা ভাবনা ভাবতে চান না সাংবাদিক এ কে জয়।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি একজন তরুণ উদ্যোক্তা এক সূত্রে জানা যায় । এ কে জয় “জয় অসহায় ফাউন্ডেশনের” প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, আলোকিত গোপালগঞ্জ কল্যান সমিতির সভাপতি ও পথশিশুদের কল্যান সংগঠন নগরফুলের পরিচালক হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন । তাছাড়া এ সাংবাদিক এ কে জয় গোপালগঞ্জ অনলাইন প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ,গোপালগঞ্জ জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের অর্থ সচিব হিসাবে দ্বায়ীত্বের সাথে কর্ম পরিচালনা কওে যাচ্ছেন ।
এ কে জয়ের নর্মতা, বাচন ভঙ্গি, শুদ্ধ উচ্চারণ, উত্তম চারিত্রিক গুণাবলী, ভদ্র, প্রাণবন্ত ও ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন একজন মানুষ। সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল তার সৃষ্টিশীলতা বা সঞ্জননই ক্ষমতা, যা হল মৌলিক ভাষিক এককগুলিকে সংযুক্ত করে অসীম সংখ্যক বৈধ বাক্য সৃষ্টির ক্ষমতা, যে বাক্য গুলির অনেক গুলিই হয়ত আজও কেউ বলেনি বা শোনেনি। প্রকাশভঙ্গী নম্র ও কোমল আচরণের মানুষকে সবাই ভালোবাসে, সমীহ করে আর তাই তিনি সকলের কাছে সমান সমাদৃত। কোমল আচরণের দ্বারা মানুষের চারিত্রিক মাধুর্যটা প্রকাশ পায়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভোজন রসিক এ কে জয় পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বেশ পছন্দ করেন।
এ কে জয় এ রিপোর্টারকে জানান, তার প্রিয় রঙ সবুজ। খেতে ভালবাসেন দেশীয় যেকোনো খাবার। প্রিয় ফল আম। প্রিয় ফুল গোলাপ। পছন্দের পোশাক জিন্স-টি শার্ট ও পায়জামা-পাঞ্জাবী। প্রিয় লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, হুমায়ুন আহমেদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। প্রিয় ঋতু বর্ষা। বই পড়া তার একটি বড় অভ্যাস। অবসরের বেশিরভাগ সময়ই কাটে বই পড়ে।
গান শুনতে খুব পছন্দ করেন। পছন্দের শিল্পী ইজরায়েল কামাকাইভিউ’ওয়েল, জর্জ মাইকেল, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, বাপ্পা মজুমদার। হলিউড মুভির প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। পছন্দের অভিনেতা ডেঞ্জেল ওয়াশিংটন, জনি ডেপ, পিয়ার্স বসনান।
ঘুরে বেড়াতে প্রচন্ড ভালোবাসেন। পেশাগত ও গবেষণার কাজে এরইমধ্যে দেশের প্রায় শখানেক উপজেলা চষে বেড়িয়েছেন। তবে সবচেয়ে পছন্দের স্থান গোপালগঞ্জ নিজের বাড়ি।
জন্মদিনের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে এ কে জয় বলেন, এখন সাধারণত রাতেই জন্মদিনের অনুষ্ঠান করা হয়। আগের রাতে প্রথম প্রহরে পরিবারের সাথে উদযাপন হয়। এর পুরো পরিবারের। কর্মস্থলেও জন্মদিনের আয়োজন থাকে। আর সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা।
ব্যক্তিগত জীবনে এ কে জয় অবিবাহিত । সবসময় ইতিবাচক মানসিকতা পোষণ করেন এই সাংবাদিক-গবেষক। অল্প বয়সে এতো এতো সাফল্যের পেছনের সূত্র মনে করেন ‘ইতিবাচক থাকা’কে। দেশকে নিয়ে প্রচন্ড আশাবাদী তিনি। সমৃদ্ধ এবং উন্নত এক দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন এ কে জয়।