Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

সালথায় ইউনিয়ন আ’লীগ অফিস ভাংচুর ও জবর দখল! ফরিদপুর

সালথায় ইউনিয়ন আ’লীগ অফিস ভাংচুর ও জবর দখল!

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গৌরদিয়া বাজারের আটঘর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুর ও জবর দখল করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর দুই পুত্র বাবলু চৌধুরী ও লাবলু চৌধুরীর দ্বন্দ্বের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে শনিবার সকালের দিকে।  

সরোজমিনে এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিসটি নিয়ন্ত্রণ করতেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা চৌধুরীর পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী বাবলু মামা। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এপিএস পদ থেকে বাবলু চৌধুরীকে অব্যহতি দেওয়া হয় এবং একই সাথে রাজনৈতিক ভাবে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। আর এ ঘটনার সাথে সাথে সালথা-নগরকান্দার রাজনীতির হাল ধরার জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পুত্র লাবলু চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর এ পরির্বতনের সাথেই সালথা-নগরকান্দায় আওয়ামীলীগের মধ্যেই দুইটি গ্রুপ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরই সূত্র ধরে শনিবার বাবলু চৌধুরীর লোকজনকে বিতারিত করে আওয়ামীলীগ অফিসটি দখল করে নেয় লাবলু চৌধুরীর অনুসারি হাসেম মোল্লা গংরা।   

আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুরের বিষয়ে এলাকার রণগোপাল (সংসদ উপনেতার সাবেক পিও), আটঘর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বরুন সরকার ও বাজার ব্যবসায়ী কার্তিক দত্ত জানান, শনিবার সকালে হাসেম মোল্লার কিছু লোকজন এসে আওয়ামীলীগ অফিসের তালা ভেঙ্গে কিছু কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলে এবং চেয়ার টেবিল অফিস থেকে বের করে দিয়ে ঘরটি জবর দখল করে নেয়। হাসেম মোল্লার ভয়ে ওই সময় গৌরদিয়া বাজারের কেউ কথা বলার সাহস পান নি। এছাড়াও তারা এলাকায় তাদের সম্প্রদায় (হিন্দু সম্প্রদায়) উপর বিভিন্ন ভাবে হুমকি দামকি প্রদান করছে বলেও তারা জানান। তারা আরো জানান এখন যেকোন মূহুর্তে তাদের বাড়ী ঘরে হামলা ও লুটপাট চালাতে পারে হাসেম মোল্লা ও তার লোকজন এই ভয়ে দিন কাটছে তাদের। 
  
এ বিষয় হাসেম মোল্লার পুত্র মিরাজ হোসেন জানান, এই আওয়ামীলীগ অফিসের ঘরটি আমাদের ক্রয়কৃত। আওয়ামীলীগ অফিস ভাঙ্গা হয় নাই এবং জবরদখলও করা হয় নাই। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ভাড়া দেয় না বাবলু গ্রুপের লোকজন। তাই আমরা আমাদের ঘরটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আওয়ামীলীগ অফিসই করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা এতদিন বাবলু চৌধুরী দ্বারা নির্যাতিত ছিলাম, লাবলু মামার অনুমতি স্বাপেক্ষে আওয়ামীলীগ অফিসটি আমরা দখলে নিয়েছি। এটি আওয়ামীলীগ অফিসই থাকবে। শুধু পরিবর্তন হয়েছে কয়েক ব্যক্তি।