নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ফরিদপুরে বাংলা নববর্ষেকে বরণ ফরিদপুর / 
দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করছে ফরিদপুরবাসী। এ উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় জেলা প্রশাসনে আয়োজনে বণার্ঢ্য র্যালী বের করা হয় শহরে। র্যালীতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ অংশ নেয়। পরে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলা বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়র খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন খান, ফরিদপুর পৌর মেয়র শেথ মাহতাব আলী মেথু, ফরিদপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহাসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাঙ্গালী জাতির জন্য এই বছরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, কারণ এই বছরের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে বাংলা সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাচিয়ে রাখার জন্য। তিনি উল্লেখ করে বলেন অতীতের বিএনপির-জামায়াত সরকার দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙ্গালী সংস্কৃতিকে ভন্ডুল করেছে । সেই সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতন বিশ্বাসী ছিলো না। তাই এখন থেকেই প্রতিটি বাঙ্গালী ঘরে ঘরে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধে চেতনা বার্তা পৌছে দিতে হবে। সকলেই ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কাজে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশাী করতে হবে। এদিকে বিকাল ৫ টায় রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় বাংলার ঐতিহ্য হা ডু ডু ও লাঠি খেলা।
অন্যদিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ ১লা বৈশাখ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ উদ্যাপন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার নানা শ্রেনী পেশার মানুষের অংশগ্রহনে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভা যাত্রা বের করা হয়। শোভা যাত্রাটি বাজারের প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিন শেষ করে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পান্তা খাওয়ায় অংশ নেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার এর সভাপতিত্বে পরিষদ খোলা মঞ্চে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয় উপজেলার শিল্পকলার শিল্পিরা। এছাড়া একই সঙ্গে জেলার অন্য উপজেলা গুলোতে একযোগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের।