Opu Hasnat

আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মাওয়ার মাছের আড়তে কোটি টাকা বিকিকিনি মুন্সিগঞ্জ

মাওয়ার মাছের আড়তে কোটি টাকা বিকিকিনি

মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ার মাছের আড়তে ভোরের সুর্য উঠার সাথেসাথে পদ্মার নদীর বিভিন্ন শাখা প্রশাখা থেকে জেলেরাতাজা ও ভেজালবিহীন মাছ ধরে নিয়ে আসেন জেলেরা । এখানে ইলিশ মাছের খ্যাতি সবচাইতে বেশি । মাওয়ায় ঘুড়তে যাওয়া মানেই তেলে ভাজা তাজা ইলিশ মাছের সাথে গরম ভাত। যেন দিল্লিকা লাড্ডু ।

এ খানকার মাছের জন্য সুনাম ছরিয়ে পড়েছে, বাংলাদেশে বহু আলোচিত মাওয়া মৎস্য আড়ত । এটি প্রায় দুইযুগের বেশি আগে প্রতিষ্ঠিত এ পদ্মা পাড়ের মাছের বাজার নামক মাওয়া মৎস আড়ৎ, হিসেবে পরিচিত ও পাইকারী বাজার নামে রূপলাভ করেছে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যেমন মাছ ব্যবসায়ীরা তাদের মাছ বিক্রির জন্য আসে, তেমনি ঢাকাসহ দূর দূরান্তের পাইকারাও এখানে আসে তাজা মাছ কিনতে। এমনকি বর্তমানে বাংলাদেশের সেন্টার জেল ঢাকার কেরানীগঞ্জে প্রতিদিন বন্দিদের খাবারের মাছ মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ার মৎস আড়ত থেকে কিনে নিয়ে যান কারা কতৃপক্ষ। 

তবে দাম একটু চওড়া হলেও তাজা মাছের কোন প্রকার জুড়ি নেই। এখানে সন্ধ্যা রাত্রের আসা কিছু কিছু মাছ বরফ দেয়া থাকলেও ফরমালিন মুক্ত মাছ এ বাজারে পাওয়া যায়। মাত্র দুই ঘন্টার এ মৎস্য আড়তে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় কোটি টাকার মাছ বিকিকিনি হয়ে থাকে।

আজ থেকে প্রায় ৩১ বছর আগে মাওয়া চৌরাস্তার পশ্চিমে পদ্মা পাড়্।এ আড়ত টি খুব ভোরে জেলেরা রাতে পদ্মা মেঘনাও বিভিন্ন নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রির জন্য এ আড়তে এসে বিক্রি করেন । পাইকাররা এখান থেকে অল্পদামে কিনে ট্রাকে করে ঢাকায় নিয়ে বেশী দামে বিক্রি করেন। সেই সাথে স্থানীয় স্বচ্ছল ও মাছ প্রিয় মানুষগুলো পদ্মার তাজা মাছ কিনতে ছুটে আসতেন এই পদ্মা পাড়ে । 

আবার অনেকে বিয়েসাদী, জন্মদিন ও অন্যান্য কোন অনুষ্টানের জন্য অতিথিদের আপ্যায়নে পদ্মার বড় ও তাজা মাছের জন্য সকাল সকাল ছুটে আসেন এই পদ্মা পাড়ে। এভাবে করেই ২জন আড়তদার থেকে এর পরিচিতি বেড়ে ২৯জন আড়তদার । এমন কি বড় বড় মাছ দেখার জন্য খোব ভোরে নামাজ পড়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে থেকে লোকজন ছুটে আসে পরিবার পরিজনকে নিয়ে এ বাজারে। প্রতিদিন সকালে বেশ জমে উঠতে থাকে এ মাছের বাজার। সেই থেকে শুরু করে এটি এখন বিষাল একটি মৎস্য আড়তে পরিণত হয়েছে। জেলেরা এখন আর মাছ নিয়ে ঢাকার আড়তে গুলোতে যায় না। বরং তাজা মাছের জন্য পাইকারাই ছুটে আসেন মাওয়া এ মৎস আড়তে। মাওয়া মৎস্য আড়তের সেক্রেটেরী মোঃ হামিদুল ইসলাম জানন, প্রতিদিন এ আড়ৎ হতে ১কোটি টাকার মাছ বিকি-কিনি হয়ে থাকে। 

বরিশাল, খুলনা, বাগের হাট, ময়মনসিংহসহ পদ্মার ও দেশের বিভিন অঞ্চলের জেলেরা এখানে মাছ নিয়ে আসেন বিক্রির জন্য। সাধারণত ইলিশ সহ বড়বড় মাছ এখানে আসে বেশী। 

মুন্সীগঞ্জ-(বিক্রমপুর )ও ঢাকাসহ দেশের দূর দূরান্ত থেকে মাছের পাইকাররা এখানে এসে মাছ কিনে নিয়ে বিভিন্ন বাজারগুলোতে সরবরাহ করে থাকে। ভোররাত ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত মাত্র দুই ঘন্টা বেচাকেনা হয়। যেদিন মাছ বেশী আসে সেদিন কিছুটা বেশী সময় ধরে এখানে মাছের বেচা-কেনা হয়। তবে মাত্র দুই ঘান্টায় কোটি টাকার বেশী লেন-দেন হয়ে থাকে।মাছের দাম টা যদিও একটু বেশী,তাজা ও ভেজাল বিহীন মাছের জন্য এ আড়তের সুনাম ইতিমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন দেশের লোকের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে। 

ঢাকায় বসবাস করেন যারা এ মাছের আড়ৎ সম্পর্কে জানেন, বড় কোন অনুষ্ঠান হলেই তাজা ও বড় মাছের জন্য ছুটে আসেন এই আড়তে। তিনি আরো বলেন, এখানে মাছ বেচা-কেনা হয় নিলামে বা ডাকের মাধ্যমে।আবার বড় প্রকার মাছের কেজি দরেও পাওয়া যায় । 

এদিকে এ মৎস্য আড়ত টি তে গড়ে উঠেছে ২৯জন আড়ত দার মিলিত হয়ে একটি সমবায় সমিতি । এর আয় ব্যয় সমিতির সদস্যরা ভোগ করে থাকেন। এ সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় এখানে পাইকাররা কখনও কোন দুর্ঘটনার শিকার হননি। সমিতির সদস্যরা নিরাপত্তার জন্য সব সময় কাজ করে এখানে ১কোটি টাকার লেন-দেন হলেও নিরাপত্তার জন্য কখনও পুলিশ ডাকতে হয়নি। ইস্থানিয় তদারকির দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টরা কর্তৃপক্ষ অনেকেই আক্ষেপ করে এ করেসপনডেন্ট কে বলেন, এ আড়ত টির জায়গা কম থাকায় এখানে ভোর সকাল থেকেই বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। পাইকারিদের মাছের ট্রাকগুলো ঠিক মত আড়তের কাছাকাছি পার্কিং ও না আসতে পাড়ায় চড়ম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তারা। 

মাদবড় মৎস্য আড়তের (সরকার ) মোঃ ইয়াছিন অভিযোগ করে জানান, এখানে ৮৭টি মোদি দোকান প্রায় ২/৩শ কয়াল-কর্মচারী অধ্যদিনমজুর, আড়তের থাকা, হোটেলসহ নানা খাবারের ব্যবসায়ী আরও ১হাজার আড়ত নিয়ে কর্মরত চলাচল রত ১হাজার ও ১১টি মাছের -ট্রাকে সিএনজি, টমটম টেম্পু অটো কম্পানির রিস্ক্রা রয়েছে প্রায় ১৬শ শ্রমিক এরা সবাই মিলে এ আড়তের রুটি-রুজির উপর দিনমজুর।
 
সরকারের দেয়া জায়গার উপর আজ ১৪ মাস চলছে আড়তদারি, করে আসছি। পদ্মা সেতুর কাজের জন্য আড়তটি সাবেক যায়গা থেকে হস্থান্তর করে ইস্থাই ভাবে ১০০মিঃ উত্তরের । বর্তমানে আড়ত দারী করে আসছি তাতে পেয়েছি যায়গা কম এতে আড়তে যানজটর সৃষ্টি হয়ে পড়েছে ।

এ মানুষগুলোর বিষয়ে সরকার কী ভাবছে তা স্পষ্ট হয়নি আজো ।

আড়তদার ও শ্রমিকদের উদ্বেগে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বহুবার আন্দলন মিটিং মিছিল করে ও সার্বিক উন্নতি পাইনি । আড়তের বরফ সমিতির ও পার্কিং গাড়ির অসংখ্য চালক, ড্রাইভার রা এ রির্পোট করার সময়, এ প্রতিনিধির ক্যামেড়ার সামনে এসে দাবি করে বলেন, সরকার পদক্ষেপ গ্রহন করলে ১দিনের মধ্যই পাড়ে । এটি দেশের অন্যতম মৎস্য বাজার হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ার আড়তের মাছ।