চিন্ময় মহান্তী'র কবিতা ‘ধরনে কালবৈশাখী’ শিল্প ও সাহিত্য / 
আজ বিকেলে হঠাৎ দেখি আকাশ ও মেঘের মেল
মেঘটা হঠাৎ রেগে গেল মেল করল ফেল !
হঠাৎ দেখি মেখের বুকে বজ্র অসির খেল
বৃষ্টিরানীর অঝোর নয়ন - কান্না বাজায় বেল।
জল থৈ থৈ পথে ঘাটে- খেয়ার উপর ছই
পথের বুকে সাঁতার কাটে জলের মাছ কই ।
ঝড়ের চোটে বেল পড়েছে গাছের তলে ঐ
চৈত্র মাসের ঝড়কে আমি কি নামেতে কই !
কালচৈতী বলতে গেলে লাগে ভীষন ভয়
নতুন নাম সৃষ্টি করা আমার কম্ম নয় ।
কালবৈশাখী বলি তবে বৈশাখ যদি হয়
উদ্ভট সব চিন্তা কেন মাথার মধ্যে রয় !
ধরনটাতো একই ছিল কালবৈশাখীরই মত
মাস বদলে কি আসে যায় ধরনইতো যত ।
হাজারেতে যত হয় সহস্রতেও তত
নামের চিন্তা ছেড়ে বোই তার ধরনের ক্ষত ।
বাগদী বুড়ির খড়ের চালা উড়ে গেল কোথায় !
বাবুই পাখির বাসাগুলি উড়েছে বুঝি যেথায় ।
আমার সখের লিচু গাছটির মগডালটি কোথায় !
রামুর সখের লিচুর ডালও গেছে বুঝি হোথায় ।
গায়ের ঘাম মরল বটে ঠান্ডা হাওয়া বইল
তবুও তার ক্ষতর স্মৃতি মনের কোনে রইল ।
স্বস্তি দিল স্বস্তি নিল -দুই মুখ দুই কইল
বাগদী বুড়ির মাটির দেওয়াল আধভাঙা রইল ।