Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের বাঁধ পরিদর্শনে পুলিশ সুপার সুনামগঞ্জ

সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাওরের বাঁধ পরিদর্শনে পুলিশ সুপার

হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান। কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জেলা কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি মঙ্গলবার দিনভর জেলার সদর, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর এই তিন উপজেলার বিভিন্ন হাওরের বাঁধ পরিদর্শন করেন। বাঁধ পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার পিআইসির সভাপতি ও স্থানীয় কৃষকদের সাথে নানা বিষয়ে কথা বলেন।

পুলিশ সুপার প্রথমে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার হালিরহাওর, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার শনির হাওরের বেশ কয়েকটি বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেন। পরে বিকালে তিনি সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার দেখার হাওরের বাঁধ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের কাচি ভাঙা ও কাই হাওরের বাঁধ পরিদর্শন করেন। 

বিশ্বম্ভরপুরে বাঁধ পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপারের সাথে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, ডিআইও ওয়ান আনোয়ার হোসেন মৃধা, ডিআইও-টু আব্দুল লতিফ তফরদার, বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি মোল্লা মনির হোসেন, ডিবির ওসি কাজী মোক্তাদির হোসেন, ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান রনজিৎ চৌধুরী রাজন। গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, সাংবাদিক মোঃ শাহাব উদ্দিন, দৈনিক আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার, দৈনিক মানবকণ্ঠের প্রতিনিধি শাহজাহান চৌধুরী, দৈনিক সময়ের স্টাফ রিপোর্টার মোঃ রুজেল আহমদ, বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোরের প্রতিনিধি  আশিকুর রহমান পীর, সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন অঞ্জন সরকার, চ্যানেল আই এর ক্যামেরা পার্সস তরিকুল ইসলাম প্রমুখ। 

এদিকে বিকালে সদর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের বাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি। বাঁধ পরিদশনকালে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার হারুন অর রশিদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ  ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং উপজেলা কমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান, দিলীপ কুমার তালুকদার প্রমুখ। 

পুলিশ সুপার মোঃ বরকতুল্লাহ খান বলেন, হাওরের জেলাগুলোর কৃষকদের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত সচেতন বলেই গতবারের অপরিকল্পিত বাধঁ নিমার্ণ ও অকাল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চলতি বছর বাধেঁর জন্য প্রচুর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত বাধঁগুলো পরিদর্শন করে বুঝা যায় এবারের বাধেঁর অধিকাংশ কাজগুলো অত্যন্ত স্বচ্চতা ও জববদিহিতার মধ্য সম্পন্ন হয়েছে। ফলে এই বছর অকাল বন্যার হাত থেকে সুনামগঞ্জের কৃষকরা তাদের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তারপরেও প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ জেলার কৃষকরা আরো বেশী সচেতনতা অবলম্বনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দূযোর্গ ও অকাল বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি থাকা প্রয়োজন।

এই বিভাগের অন্যান্য খবর