Opu Hasnat

আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

আত্মরক্ষায় প্রশাসনের গুলি চার রাউন্ড

লোহাড়ায় পুলিশের নিকট থেকে আসামি ছিনতাই নড়াইল

লোহাড়ায় পুলিশের নিকট থেকে আসামি ছিনতাই

নড়াইলের লোহাগড়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে চার আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৫ মার্চ) গভীর রাতে লোহাগড়া উপজেলায় আমাদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় চার পুলিশ কর্তকর্তা আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত পুলিশ কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই গোবিন্দ, এএসআই আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও বাবুল হাসানকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।    

পুলিশ জানায়, রোববার রাতে লোহাগড়ার আমাদা গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামার আসামি গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। গোপন সুত্রে আসামিদের অবস্থান পুলিশ জানতে পারে। এ সময় আলী আহম্মেদ খানের ছেলে রাঙ্গু খান (২৭), অহিদার খানের ছেলে নাইস খান (২৫), গ্রামপুলিশ দাউদ মলি­কের ছেলে সোহেল মলি­ক (২৩) ও মন্টু মলি­কের ছেলে সোহেল মলি­ককে (২০) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আমাদা পশ্চিমপাড়া মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয়, গ্রামে ডাকাত পড়েছে। এ ঘোষণায় আসামিপক্ষের লোকজন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। হামলায় লোহাগড়া থানার এসআই গোবিন্দ, এএসআই আনিসুজ্জামান, কাজী বাবুল ও বাবুল হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন। 

 লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, চার পুলিশ কর্মকর্তাকে আহত করে আসামি ছিনতাই করে নেয়া হয়। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে শর্টগানের চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোহাইমিন জিসান বলেন, সোমবার ভোরে আহত অবস্থায় চার পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।    

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট মাস ধরে লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবুল কাশেম খান এবং প্রতিপক্ষ আলী আহম্মেদ খানের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলে আসছে। 

গত ২৪ মার্চ ভোরে আলী আহম্মেদ খানের সমর্থকেরা আবুল কাশেম খান সমর্থকদের ১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছে। বাড়িঘর ভাংচুরের সময় প্রতিপক্ষের লোকজন কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ও কয়েক রাউন্ড গুলি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচটি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটগানের ১৪ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। এছাড়া গত দুই মাসে আমাদা গ্রামে দুইপক্ষের মধ্যে চারবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাড়িঘর ভাংচুরসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়।