Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মোরেলগঞ্জে অপহরণের ১০ দিনেও উদ্ধার হয়নি গৃহবধু বাগেরহাট

মোরেলগঞ্জে অপহরণের ১০ দিনেও উদ্ধার হয়নি  গৃহবধু

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের ডেউয়াতলা গ্রামে স্বামী ও তার লোকজন কর্তৃক এক গৃহবধুকে অপহরণের ১০ দিন  পরও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় গৃহবধূর ভাই শহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
   মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ২৫ নভেম্বর ওই গ্রামের আ.মজিদ হাওলাদারের মেয়ে লাকি বেগমের বিয়ে হয় একই এলাকার পালেরখন্ড গ্রামের আ.হাকিম হাওলাদারের ছেলে আ.জলিল হাওলাদারের সঙ্গে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে রয়েছে ১৩ বছরের শিশু কন্যা ডলি। বিয়ের পর লাকির সুখ শাšিতর কথা চিšতা করে তার পরিবার অর্থ-সম্পদহীন বেকার জামাতা আ.জলিলকে টাকা-পয়সা খরচ করে সৌদি পাঠায়।সৌদিতে থেকে সে অনেক ধন-সম্পদের মালিক হয়ে ২০১৪ সালে বাড়িতে ফিরে। আ.জলিল বাড়িতে ফিরে তার আতœীয়-স্বজনের কু-পরামর্শে লাকি বেগমকে তাড়িয়ে দিয়ে ২য় বিয়ে করায় অপচেষ্টায় লাকির ওপর লাগাতার নির্যাতন চালাতে থাকে। নির্যাতনের এক পর্যায় বেদম মারপিট করে গর্ভপাত ষটায়। এ ঘটনায় লাকি বেগম বাদী হয়ে স্বামী আ.জলিলসহ ৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করে।পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য লোকজনের ধরা-পরার কারনে মামলার তদবির না করে তারা পূনরায় স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ঘর সংষার করতে থাকে। এ ঘটনার পর আবার স্বামী আ.জলিল আত্মগোপনে থেকে তার পরিবারের লোকজন দিয়ে লাকি বেগমকে তাড়িয়ে দিতে নানা চক্রাšত করে। ঘটনার দিন গত ১৭ আগষ্ট রাত  ১১টার দিকে  আ.জলিলের লোকজন কথা বলার জন্য লাকি বেগমকে তার মেয়ের সামনে থেকে ঘরের বাইরে নিয়ে যায়। তারা লাকিকে আজে-বাজে কথা বলায় এক পর্যায় মেয়ে ডলি বেগম ঘরের ভেতরে চলে যায়। এ সুযোগে তারা লাকি বেগমকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। লাকি বেগম   ঘরে না ফেরায় মেয়ে ডলি তাকে বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখুঁজি করে  না পেয়ে ওই রাতেই পার্শবর্তী ঘরে গিয়ে মোবাইল করে বিষয়টি লাকি বেগমের ভাই শহিদুল হাওলাদারকে জানায়।পরবর্তীতে শহিদুল ঘটনাস্থলে গিয়ে বি¯তারিত জানতে পেরে খোঁজাখুঁজি করে তার বোনকে না পেয়ে তার ভগ্নিপতি আ.জলিল হাওলাদারসহ ৭জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপহরণ ও  সহায়তা করার অপরাধে ২১ আগষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-২৭) । #