Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার

প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ চট্টগ্রাম

প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিগত ৯ বছরে দেশে সড়ক যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রাণি সম্পদসহ বিভিন্ন সেক্টরে একের পর এক উন্নয়ন কর্মকান্ড দেশে দৃশ্যমান হয়েছে। বিশ্বের ১৯৩টি রাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আমাদের জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও  নিরলস প্রচেষ্টায়  চলতি মার্চ মাসে বাংলাদেশের এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এটা আমাদের জন্য বিরাট পাওনা। এসব অবদানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে জেলা প্রশাসন কর্তৃক বাংলাদেশের এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, স্বাধীনতার মাস মার্চ।  ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ  জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশর স্বাধীনতা অর্জন, বঙ্গবন্ধুর  ৭ মার্চের  ঐতিহাসিক ভাষণ এবং ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। স্বাধীনতা প্রাপ্তির পর সবচেয়ে বড় গৌরব এটি। এ মাসে আমাদের এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ ঘটেছে। নিম্ন আয়ের দেশ থেকে স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণ সাধারণ কোন কথা নয়। দেশে সুশাসন আছে বলেই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেলের মত বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এসব কারণেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। 

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘের নিম্ন আয় শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত হয়। বিগত ৪৩ বছর স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় থাকার পর উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। পৌঁছেছে এক নতুন উচ্চতায়। স্বাধীনতার মাসে বাঙালি জাতির গৌরবের মুকুটে যুক্ত হলো আরো একটি সাফল্যের পালক। চলতি ২০১৮ সালে  সুপারিশ লাভের সম্ভব্য তিনটি দেশের অন্যতম ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশই একমাত্র দেশ। যেটি জাতিসংঘের নির্ধারিত তিনটি সূচক যথাক্রমে- মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা/ ঝুঁকি সবক’টি এক সঙ্গে পূরণ করে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে। এটা একটা ঐতিহাসিক অর্জন। ২০১৫ সালের শুরু থেকে ২০১৮ পর্যন্ত তিন বছর নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি দিয়েছে গত ১৬ মার্চ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই উত্তরণ সম্ভব হয়েছে। আরো ৩ বছর-২০২১ পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা এবং পরের ৩ বছর তৃতীয় দফা পর্যবেক্ষণে রেখে সূচকগুলো অর্জনের ধারাবাহিকতা রক্ষিত হলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা দেবে জাতিসংঘ। 

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি-বাকলিয়া) সাবরিনা মুস্তফার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি ড. এস এম মনির-উজ-জামান বিপিএম, পিপিএম ও জেলা পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা বিপিএম, পিপিএম। মুখ্য আলোচক ছিলেন  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নিতাই চন্দ্র নাগ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। 

আলোচনা সভা শেষে জেলা শিশু একাডেমির শিক্ষার্থীরা নৃত্য ও জারিগান পরিবেশন করেন। সভায় বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষার্থীগণ, গণমাধ্যম কর্মীসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।