Opu Hasnat

আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ২০২৪,

পাইকগাছায় লস্কর ও কড়ুলিয়া মৌজায় ভূমি দস্যুরা সরকারি সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ খুলনা

পাইকগাছায় লস্কর ও কড়ুলিয়া মৌজায় ভূমি দস্যুরা সরকারি সম্পত্তি জবর দখলের অভিযোগ

পাইকগাছায় প্রশাসনের নজরদারীর অভাবে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভূমিদস্যুরা সরকারি সম্পত্তি দখল করে চলেছে। সচেতনমহল উর্দ্ধতন প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। 

জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শুষ্ক মৌসুম আসলেই ভূমিদস্যুরা সরকারী সম্পত্তির দখলের মহোৎসবে মেতে উঠে। এরমধ্যে উপজেলার লস্কর, সোলাদানা, হরিঢালী, চাঁদখালী, কপিলমুনি, লতা ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন স্থানে ভূমিদস্যুরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বা তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নদী ও খাল ভরাটে পতিত সরকারের সম্পত্তি দখল করছে। অনেক ক্ষেত্রে এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাদের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বললে কর্মকর্তারা সুকৌশলে ভূমিদস্যুদের সাথে আতাঁত করে বিষয়টি এড়িয়ে ছুটির দিনে সরকারি সম্পত্তি দখল করার সহযোগিতা করে। আরো অভিযোগ রয়েছে, উপজেলার চাঁদখালী, গড়ইখালী, হরিঢালী, কপিলমুনি, লতার মত লস্কর ও কড়ুলিয়া মৌজায় নদীর চর ভরাটিয়া জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় আব্দুল খালেক, ইয়াকুব, সবুর, সুজিত, ইমান ও সকিল উদ্দীন চর ভরাটি পতিত জমি বাঁধ দিয়ে দখলের চেষ্টা করলে ইউনিয়ন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা পঞ্চানন মলি­ক খবর পেয়ে তাদের কাজ বন্ধ করে দেয়। এর আগে ধান কাটা মৌসুমে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য লাল পতাকা দিয়ে সীমানা চিহ্নিত করার নির্দেশ দিলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এনামুল কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অজানা কারণে অবৈধ দখল বন্ধ হয়নি। 

এলাকাবাসী জানান, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এনামুল কবিরের যোগসাজসে ভূমিদস্যুরা এসব চর ভরাটি জমি দখল করেছে। ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এনামুল কবির জানান, আমার অফিসের পাশে এ জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। তাদেরকে আমি ডেকে জায়গা ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছি। যদি তারা না ছেড়ে দেয় আগামী সপ্তাহে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।