Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

সাতক্ষীরার মাগুরা গ্রামে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ ; গুলিবিদ্ধ ৩ সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার মাগুরা গ্রামে পুলিশের সঙ্গে  বন্দুকযুদ্ধ ; গুলিবিদ্ধ ৩

 সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের হযরত পাড়ের পানের বরজে পুলিশের সঙ্গে  বন্দুকযুদ্ধে তিন জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রোববার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ চার রাউণ্ড ককটেল, ছয় রাউণ্ড বন্দুকের গুলি ও তিনটি রামদা উদ্ধার করেছে। গুলিবিদ্ধ তিনজনকে সাতক্ষীরা সদর হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  গুলিবিদ্ধরা বলছেন, পুলিশ তাদের বাড়ি থেকে তুলে এনে গুলি করেছে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন, সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চাঁদকাটি গ্রামের সোবহান শেখের ছেলে কালাম শেখ ( ৩৪ ), পাটকেলঘাটা থানার মিঠাবাড়ি গ্রামের আমানউল্লার  ছেলে সাদ্দাম হোসেন ( ২২ ) ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলা সদরের জাকির হোসেনের ছেলে জিল্লুর রহমান ( ২১) ।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) রেজাউল  ইসলাম দাবি, একদল ডাকাত ডাকাতির উদ্দেশে উপজেলার মাগুরা গ্রামের হযরত পাড়ের পানের বরজের মধ্যে জড়ো হয়েছে মর্মে তিনি খবর পান।

 এরই ভিত্তিতে পুলিশ রোববার রাত ১২টা ১০ মিনিটে সেখানে পৌঁছালে তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোঁড়ে ডাকাতরা এ সময় পুলিশও পাল্টা ১৫ রাউণ্ড গুলি ছোঁড়ে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ তিন ডাকাতকে উদ্ধার করে।

স্থানীয় লোকজন তাদের ডাকাত বলে শনাক্ত করে বলে দাবি পুলিশের। পরে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপতালে ভর্তি করা হয়।  

ঘটনাস্থল থেকে চারটি তাজা ককটেল, তিনটি রামদা ও ছয় রাউণ্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধার করা হয় বলেও দাবি করেছে পুলিশ।  পুলিশ বলছে, গুলিবিদ্ধ কালাম শেখের বিরুদ্ধে তালা থানায় নয়টি মামলা রয়েছে। তবে অন্য দুজনের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আছে তা অনুসন্ধান বরা হচ্ছে।  তাদের ডাকাতির উদ্দেশে কালাম শেখ ভাড়া করে নিয়ে আসে বলে দাবি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. পরিমল কুমার বিশ্বাস জানান, রোববার দিবাগত রাত একটা ১০ মিনিটে গুলিবিদ্ধ তিন জনকে পুলিশ পাহারায় হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন তিন জনেরই বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লেগেছে। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তাকে তার নানার বাড়ি থেকে রোববার সন্ধ্যায় পুলিশ তুলে এনে গভীর রাতে চোখে কালো কাপড় বেঁধে বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি করেছে। একইভাবে বাড়ি থেকে রোববার সন্ধ্যায় তুলে এনে গভীর রাতে বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি করার অভিযোগ করেন জিল্লুর রহমান।

পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় উপপরিদর্শক আকরাম হোসেন বাদি হয়ে সোমবার সকালে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।