ঝালকাঠিতে পুস্তক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর ও যৌতুক মামলা ঝালকাঠি / 
ঝালকাঠি শহরের বায়তুল মোকাররম চৌমাথায় পুস্তক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর ও যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা করেছে নারীনেত্রী ফাতেমা বেগম মুক্তার ভাই মোঃ মাহবুবুর রহমান। নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ৫ মার্চ এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মোঃ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য সদর থানার ওসিকে তদন্ত করে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ দেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবত পুস্তক ব্যবসায়ী আজিজুল হক তার স্ত্রী মুক্তা ও কন্যা সন্তান নিয়ে ফকিরবাড়ি রোডে বাসা ভাড়া করে থাকতো। কিন্তু কয়েকদিন ধরে আজিজুলকে বাসায় না দেখলেও মুক্তা ও তার কন্যা রাতে বাসায় থাকে। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯৮ সালের ১১ মে পারিবারিকভাবে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ইতিমধ্যে তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কয়েকবছর ধরে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে। ইতিমধ্যে এক শিক্ষিকার সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ে আজিজুল। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আজিজুল ২ মার্চ বাসার দরজা আটকিয়ে মুক্তাকে বেধরক মারধর করে।
পুস্তক ব্যবসায়ী আজিজুল জানায়, আমার স্ত্রী ফাতেমা বেগম মুক্তা ২ মার্চ শুক্রবার তার ভাইদের নিয়ে দরজা আটকিয়ে আমাকে বেধরক মারধর করে। আমি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করাই। উল্টো আমার নামে তারা মারধর ও যৌতুকের মামলা দায়ের করে। ক্ষোভ প্রকাশ করে আজিজুল জানান, আমার স্ত্রী মহিলা আওয়ামীলীগের সাথে সম্পৃক্ত। তাই সংসারের প্রতি তার কোন খেয়াল নেই। পাশাপাশি পৌরসভায় মাস্টাররোলে চাকরীও করছে। তাই সকালে কর্মস্থলের উদ্যেশ্যে বেরিয়ে ফিরে মধ্য রাতে। রান্না করা-সংসার সামলানোর দিকে তার কোন খেয়াল নেই। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে সংরক্ষিত (৪, ৬ ও ৭) নং ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে। ওই সময়ে তার নির্বাচনী সকল খরচ আমি বহন করেছি। তার খামখেয়ালী ও ইচ্ছেমতো চলাচলে বাধা নিষেধ করলে আমাকে ফাঁসাতে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সদর থানার এসআই আশিক এ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। তিনি জানান, আদালতে নালিশী অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত আমার কাছে আছে। তদন্ত চলছে। সময়মতো আদালতে প্রতিবেদন দেয়া হবে।