Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

জামিন দেয়া হাকিমকে হাইকোর্টে চান অ্যাটর্নি জেনারেল আইন ও আদালত

জামিন দেয়া হাকিমকে হাইকোর্টে চান অ্যাটর্নি জেনারেল

অর্থপাচারের অভিযোগে দায়ের মামলার দুই আসামিকে আদালতে হাজিরের তিন ঘণ্টার মধ্যে জামিন দেয়া হাকিমকে (ম্যাজিস্ট্রেট) হাইকোর্টে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ করাতে চান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি সংশ্লিষ্ট হাকিমকে ক্যামেরা ট্রায়ালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন।
 
অর্থপচার মামলার আসামি ও এবি ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার জামিন বাতিল সংক্রান্ত রুলের শুনানিকালে রবিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে অ্যাটর্নি জেনারেল এ আবেদন করেন।
 
অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, ‘আদালতে হাজিরের তিন ঘণ্টার মধ্যে এবি ব্যাংকের প্রাক্তণ চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামালকে যে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন দিয়েছেন, তাকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করুন। সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটকে ডেকে এনে ক্যামেরা ট্রায়ালে এ ধরনের জামিনের নেপথ্যে কারা জড়িত তা জানুন।’
 
আদালত বলেন, ‘সম্প্রতি ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ১৩৯ জনের বিলম্বিত বিচার নিয়ে আদেশ দিয়েছিলাম। সেটা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে কথা উঠেছে।’এরপর আদালত এই মামলার শুনানি আগামী বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করেন।
 
এর আগে গত ১ মার্চ অর্থপাচারের মামলায় এবি ব্যাংকের প্রাক্তণ চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামালের জামিন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।
 
আদালত বলেন, ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা হওয়ার সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে রিমান্ডের আবেদন থাকা সত্ত্বেও দু’জন আসামিকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট জামিন দিয়েছেন। আরেক আসামিকে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
 
নথি পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, জামিন ও রিমান্ডে পাঠানোর আদেশের মধ্যেই বৈপরীত্য রয়েছে। কারণ, রিমান্ডে পাঠানোর আদেশে ম্যাজিস্ট্রেট বলেছেন, এটা স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচার্য। আবার দু’জনকে জামিন দেয়ার ক্ষেত্রে অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব? ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় এ ধরনের আদেশ কমই দেখতে পাওয়া যায়। এভাবে জামিন দেয়া হলে জাতির কাছে কী বার্তা যাবে?
 
গত ২৫ জানুয়ারি ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে নগরীর মতিঝিল থানায় একটি মামলা করে দুদক। এ মামলায় এবি ব্যাংকের প্রাক্তণ চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামালকে জামিন দেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
 
তবে ব্যবসায়ী সাইফুল হককে জামিন না দিয়ে রিমান্ডে পাঠায় একই আদালত। বিষয়টি নজরে আসায় গত ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জামিন আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।