Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

নগরকান্দায় লাবনী হত্যা : ২ সপ্তাহেও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী ফরিদপুর

নগরকান্দায় লাবনী হত্যা : ২ সপ্তাহেও গ্রেফতার হয়নি কোন আসামী

ফরিদপুরের নগরকান্দায় লাবনী হত্যা মামলায় গত ২ সপ্তাহেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে স্বামী ছাদমান ওরফে আরজু মাতুব্বর জোরপূর্বক ৫ মাসের অন্তসত্বা স্ত্রী লাবনীর গর্ভপাত ঘটায়। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে রাতেই লাবনী মারা যায়। এ সময় আরজু কৌশলে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে লাবনীর ভাই লালন মিয়া বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় আরজুকে প্রধান করে ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।  পুলিশ লাবনীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

সরেজমিনে গিয়ে জানাগেছে, উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের আশফরদী গ্রামের হাজী ছাদেক মিয়ার মেয়ে লাবনীর সাথে ২ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলার চরবালিয়া গ্রামের ছাদেক মাতুব্বরের ছেলে ছাদমান ওরফে আরজু মাতুব্বরের পারিবারিক মতে বিবাহ হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ফরিদপুরে গাইনী ডাক্তারের নিকট পরীক্ষা-নিরিক্ষাসহ চিকিৎসা করানোর কথা বলে আরজু ৫ মাসের অন্তসত্বা স্ত্রী লাবনীকে নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়। রাতে অসুস্থ লাবনীকে শশুর বাড়ীতে ফেলে আরজু কৌশলে পালিয়ে যায়। এ সময় লাবনীর প্রচুর রক্তক্ষরন হচ্ছিল। পরিবারের সদস্যরা ডাক্তারের নিকট নেওয়ার আগেই লাবনী মারা যায়। এ ঘটনার ২ সপ্তাহ পার হলেও কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে হতাশায় ভূগছে পরিবারের সদস্যরা। 
 
লাবনীর বাবা ছাদেক মিয়া বলেন, আরজুসহ লাবনীর শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও ভাশুর লাবনীর গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু লাবনী কিছুতেই তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি ছিল না। তাই আরজু মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে লাবনীকে ফরিদপুরে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে অজ্ঞাত কোনো ডাক্তারের কাছে নিয়ে গর্ভপাতের ওষুধ খাওয়ায়। রাতে অসুস্থ্য অবস্থায় আমাদের বাড়িতে রেখে লাবনীর স্বামী আরজু  পালিয়ে যায়।

মামলার অভিযোগকারী লালন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে আরজুসহ ওর মা, বাবা ও ভাই মিলে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। ওরা আমার বোনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন হাতুরে ডাক্তারের নিকট নিয়ে গর্ভপাত ঘটায়। আজ ২ সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

অভিযুক্ত আরজুর পলাতক থাকায়  মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয়। তবে মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মামলার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী করে আদালতে প্রেরণ করবো। আদালত অনুমতি দিলেই আসামীদের গ্রেফতার করা হবে।