Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

কোটাঁদপুর বলুহর বাঁওড়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের মহাৎসব চলছে ঝিনাইদহ

কোটাঁদপুর বলুহর বাঁওড়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের মহাৎসব চলছে

ঝিনাইদহের কোটাঁদপুর বলুহর বাঁওড়ে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে মাছ ধরা মৌসুম শুরু হয়েছে। মাছ ধরা  শুরুতেই অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের মহাৎসব চলছে। মাছ শিকারের লক্ষ্যমাত্রা ২০০টন নির্ধারিত থাকলেও তা অর্জিত না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। 

অভিযোগ উঠেছে, বাঁওড় ম্যানেজারের বিরুদ্ধে লুটপাট ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় শান্তি হালদারকে দিয়ে তিনি বাঁওড় পাড়ের স্থানীয় নিরীহ বাসিন্দাদের নামে হয়নারিমূলক মামলা দায়ের করিয়েছেন। পুলিশের ভয়ে তার পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাধারন মানুষের নামে মামলা করায় স্থানীয় এমপি নবী নেওয়াজ বিষয়টি বাঁওড় ম্যানেজারকে অবহিত করেছেন। তাতেও কোন কাজ হচ্ছেনা। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, বাঁওড় ম্যানেজার সিদ্দিকুজ্জামান ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বলুহর বাঁওড়ে যোগদানের পর থেকে নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। বাঁওড়ের এমন কোন খাত নেই যে তিনি দুর্নীতি করেননি। তার কারনেই বাঁওড়ের অধিকাংশ মাছ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। প্রতি অর্থ বছরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মাছ শিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু তিনি এসব নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছামত মাছ ফিশিংয়ের কাজ শুরু করেছেন। তার অনুগত হালদারদের নিয়ে মাছ ফিশিং করছেন। এসব হালদারদের খাওয়া মাছ দেওয়ার নামে প্রায় প্রতিজনের ১ মণ থেকে ২ মণ মাছ দিয়ে থাকেন। পরে ওইসব মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে বাঁওড় ম্যানেজার টাকা ভাগাভাগি করে নেন বলে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। বিধি অনুযায়ী বাওড়ের মাছ স্থানীয় জনসাধারণের কাছে ৩০% সরকারি দামে বিক্রি করার কথা থাকলেও তিনি তা করেন না। 

এ ঘটনায় বাওড় ম্যানেজার সিদ্দিকুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই বাঁওড়ে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০০ টন। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করছি। গত অর্থবছরে বাঁওড়ের পানি দুষিত হয়ে প্রচুর মাছ মারা যায়। এ কারণে গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি বলে তিনি দাবী করেন। এখানে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হচ্ছে না।