সিরাজদিখানে সোনালী ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপককে প্রাণনাশের হুমকি মুন্সিগঞ্জ / 
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের সোনালী ব্যাংক তালতলা শাখার ব্যবস্থাপক ও ব্যাংকের কয়েকজন অফিসারকে প্রাণনাশের হুমকি দেবার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে শাখা ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে শনিবার সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে মালখানগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন ও মালখানগর ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: আমিনসহ অজ্ঞাত কয়েকজন রয়েছে। রোববার বিষয়টি তদন্তে ব্যাংকে পুলিশের একটি দল গিয়েছেন।
সোনালী ব্যাংক তালতলা শাখা ব্যাবস্থাপক মো. জাকির হোসেন জানান, ১৯৯৬ সালে মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল গ্রামের ইউনুছ মিয়া ১৫ হাজার টাকা কৃষি ঋণ নেন। তিনি মারা যাওয়ার দীর্ঘ দিন পর তার ছেলে আনোয়ার হোসেন ও মোঃ আমিনকে বিষয়টি জানালে তারা হুমকী দেয়।
গত বুধবার দুপুরে আরো অজ্ঞাত লোকজন নিয়ে ব্যাংকে এসে কার্যক্রমের বিঘœতা সৃষ্টি করে। তাদের বাধা দিলে তারা আমাকে সহ ব্যংকের অন্যান্য অফিসারদের সুয়োগ পেলে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দেয়। আমি বিষয়টি উর্ধতনদের জানালে, তারা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। এ ব্যাপারে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। এই ব্যাংকে মোট কৃষি লোন রয়েছে ৯.২০ কোটি টাকা। খেলাফির পরিমান ৭.৩০ কোটি টাকা। খেলাফি ঋণ ৫৮% অধিকাশং কৃষি লোন। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ঋণ উঠে আসছে না।
আনোয়ার হোসেন জানান, আমাদের গ্রামের একটি প্রতিবিন্ধি ছেলে সমর কর্মকার ভাতার টাকা বাংক উত্তোলন করেছিল। সেখানে ১ হাজার টাকার একটি জাল নোট ব্যাংক থেকে দিয়েছে বলে ছেলেটি জানায়। সেটি পাল্টে দেওয়ার কথা বললে প্রতিবন্ধি ছেলেটিকে তারা মারধর করে। সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে গেলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। অনেক লোকজন ছিল আমরা তাদের সাথে কোন খারাপ আচরন করি নাই।
এ ব্যাপারে আমিন জানান, আমি বুধবার ঢাকাতে ছিলাম। আমি এক বছরেও সোনালী ব্যাংকে যাই নাই। যদি কেহ বা ব্যাংকের গার্ড দেখেছে বলে আমি ব্যাংকে গিয়েছি, তাহলে যে কোন আইনি ব্যবস্থা মেনে নিব।
সিরাজদিখান থানার ওসি আবুল কালাম জানান, ম্যানেজার এসেছিল, এ ব্যাপরে আমার সাথে কথা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এস আই আরিফ কাউসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সে আজ (রবিবার) তদন্তে গিয়েছে।