Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

লোহাগড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান খুন : তিন দিনেও মামলা হয়নি নড়াইল

লোহাগড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান খুন : তিন দিনেও মামলা হয়নি

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে (৫০) গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইউপি মেম্বারসহ চারজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে। শনিবার (১৭ ফেব্র“য়ারি) দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে তাদের  কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন-দিঘলিয়া ইউপি মেম্বর বাটিকাবাড়ি গ্রামের মহিউদ্দিন কাজীর ছেলে ফরিদ আহম্মেদ বুলু (৪৮), কুমড়ি গ্রামের আবদুস সালাম শরীফের ছেলে শরীফ বাকি বিল্লাহ (৩৮), একই গ্রামের সোহেল হোসেনের ছেলে স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা এবং লোহাগড়া পৌরসভার রাজুপুরের সাত্তার শেখের ছেলে মিরান শেখ (৩০)।

এদিকে, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধা ৬টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। নিহতের স্বজনেরা জানান, মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

জানা যায়, নড়াইল সদর হাসপাতালে নিহত পলাশের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের বাড়িতে চেয়ারম্যান পলাশকে দাফন করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ লতিফুর রহমান পলাশ(৫০) নিজ বাড়ি থেকে বের হন। পরে উপজেলা পরিষদে একটি সভায় যোগ দেন তিনি। সভা চলাকালিন হঠাৎ পলাশ  লোহাগড়া ইউএনও কার্যালয় থেকে সাড়ে ১২টারদিকে বের হয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস ও সেটেলমেন্ট অফিসের মাঝামাঝি পৌছাতেই ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তের গুলি ও ধারালো অস্ত্রের কোপে ঘটনা স্থলেই খুন হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, চেয়ারম্যান পলাশের জীবনের ঝুঁকি থাকায় তিনি একটি লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র (শর্টগান) সাথে রাখতেন। কিন্তু গত দুই বছর আগে ব্যালেস্টিক রিপোর্টের অজুহাতে সেই অস্ত্রটি লোহাগড়া থানা পুলিশ ফেফাজতে নেয়। নিহতের স্বজনদের ধারণা আত্মরক্ষার একমাত্র অস্ত্রটি না থাকায় সন্ত্রাসীরা সহজ পরিকল্পনায় চেয়ারম্যানকে খুন করতে সক্ষম হয়েছে।