Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের অচলাবস্থার অবসান আন্তর্জাতিক

মার্কিন কেন্দ্রীয় সরকারের অচলাবস্থার অবসান

অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িক অর্থ বরাদ্দসংক্রান্ত বিলের বিষয়ে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে সমঝোতার পর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের অচলাবস্থা কাটতে যাচ্ছে। 

অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের বিষয়ে ভবিষ্যতে আলোচনা চলবে- রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে এমন প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর ঐকমত্যে পৌঁছায় দুই দলের সিনেটররা।
 
ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু কার্যক্রম ২০ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকার পর তা পুনরায় চালু হচ্ছে।
 
অর্থ বরাদ্দসংক্রান্ত একটি বিল মার্কিন সিনেটে আটকে যাওয়ার পর ফেডারেল সরকারের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে দেশটিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল গত ২০ জানুয়ারি থেকে আর ওই দিনটি ছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের বর্ষপূর্তির দিন। 
 
ফলে বহু সরকারি বিভাগ যেমন- গৃহায়ণ, পরিবেশ, শিক্ষা এবং বাণিজ্য দফতরের বেশিরভাগ কর্মকর্তাই কাজে যাচ্ছেন না। এ ছাড়া অর্থ, স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষা এবং যোগাযোগ- এ বিভাগগুলোর অর্ধেক কর্মচারী কাজ থেকে বিরত থাকেন। জাতীয় উদ্যান এবং স্মৃতিসৌধগুলো বন্ধ হয়ে যায়, ভিসা এবং পাসপোর্টের কাজ বিলম্বিত হয়।
 
তবে সোমবার বিলটি সিনেটে ৮১-১৮ ভোটে এবং হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভে ২৬৬-১৫০ ভোটে পাস হয়। এর পর সোমবার রাতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরকারি অচলাবস্থা কাটাতে বিলটিতে সই করেন।
 
ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে সিনেটর চাক শুমার বলেছেন, অভিবাসীদের রক্ষার বিষয়ে রিপাবলিকানরা পদক্ষেপ নিলেই বাজেট বাড়ানোর বিলে তারা সম্মতি দেবেন। অবশ্য বিপক্ষের সিনেটর মিচ ম্যককনেল তাদের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে অভিবাসীদের বিষয়টি রাখার কথা জানান।
 
ট্রাম্পের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়, বিরোধীদের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ায় তিনি খুশি হয়েছেন। 
 
মূল সমস্যা শুরু হয় যে বিষয়টিকে ঘিরে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের সুরক্ষায় ওবামা সরকারের ঘোষিত ‘ড্রিমার প্রজেক্ট’-এ বরাদ্দ অর্থ নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয় মার্কিন সিনেট। যে ৭ লাখেরও বেশি অনিবন্ধিত অভিবাসী শিশু বয়সে আমেরিকায় ঢুকেছেন, ডেমোক্র্যাটরা চাইছেন তাদের বহিষ্কারের হাত থেকে রক্ষা করতে।
 
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এক কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের সাময়িক আইনি বৈধতা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেন তিনি এ কর্মসূচি বন্ধ করে দেবেন এবং কংগ্রেসকে একটা নতুন পদক্ষেপ চূড়ান্ত করতে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় দেন। - বিবিসি