Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

শিল্পী উল্কা হোসেনের একক সঙ্গীতসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত বিনোদন

শিল্পী উল্কা হোসেনের একক সঙ্গীতসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

সঙ্গীতশিল্পী উল্কা হোসেনের একক সঙ্গীতসন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হযেছে। দেশাত্মবোধক গান দিয়ে শুরু করে পর্যায়ক্রমে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত, পল্লিগীতি আর নিজের মৌলিক গান পরিবেশন করেন শিল্পী। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সেমিনারকক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। চলে প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে সঙ্গীতবিষয়ক মাসিক পত্রিকা ‘সরগম’।

দেশাত্মবোধক গান ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’ দিয়ে পরিবেশনা শুরু করেন শিল্পী। এরপর একে একে পরিবেশন করেন বাংলা গানের শ্রোতাদের হৃদয় জয় করা জনপ্রিয় গান। ‘ওরে একতারা দোতারা’, ‘কে দুরন্ত বাজাও’, ‘সাগরের সৈকতে’, ‘আমি রজনীগন্ধা’, ‘আমার মনটা বলে’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘মন মেতেছে মন ময়ূরীর’, ‘দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা’, ‘কল কল ছল ছল’, ‘পুরনো সেই দিনের কথা’, ‘মনে রবে কিনা রবে আমারে’, ‘কাগজের এই নৌকো আমার’, ‘আমার কলম বন্ধু’, ‘এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায়সহ শিল্পী মোট ২২টি গান পরিবেশন করেন।  

‘সরগম’ সম্পাদক ও শিল্পীর স্বামী কাজী রওনাক হোসেনের সঞ্চালনায় শিল্পী উল্কা বিজয়ের মাসে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন শুরু করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে শিল্পীকে শুভেচ্ছা জানান জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীনসহ গীতিকার কে. জি. মোস্তফা, কবি হেলাল হাফিজ, গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়েজী, সুরকার শাহনেওয়াজ, গানবাংলার চেয়ারম্যান নাট্য পরিচালক ও নাট্যশিল্পী চান্দা মাহজাবীন, রন্ধনশিল্পী লবি রহমান প্রমুখ।

ছোটবেলা থেকেই গানের শুরু উল্কা হোসেনের। নতুনকুঁড়ি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিটিভিতে পদচারণা শুরু ১৯৭৬ সালে। 

নিজের একক সঙ্গীতসন্ধ্যা সম্পর্কে উল্কা হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে ছিলাম, এখনো আছি। বাংলা গানের বৈচিত্র্য নিয়েই আমার আজকের আয়োজন। আশা করছি সামনে আরো ভালো আয়োজন করতে পারব।

মা-বাবার অনুপ্রেরণায় ছোটবেলা থেকেই গানের চর্চা শুরু করেন উল্কা হোসেন। হাতেখড়ি বড় মামা ফখরুল ইসলাম ফরহাদের কাছে। স্পেশাল গ্রেডে নিয়মিত শিল্পী হিসেবে ২০০৫ সাল থেকে বিটিভিতে গান পরিবেশন করে আসছেন তিনি। 

জনপ্রিয় এ শিল্পী বিভিন্ন সময় তালিম নিয়েছেন সমর দাশ, ওস্তাদ জাকির হোসেন, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদ, নিতাই রায়, সোহরাব হোসেন, সুধীন দাশ, খালিদ হোসেন, আলী ইমাম চৌধুরী, সঞ্জীব দে, অনিল কুমার সাহা প্রমুখের কাছে।