Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া অটোচালক অপহৃত, আটক ৩ কুমিল্লা

৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া অটোচালক অপহৃত, আটক ৩

কুমিল্লার হোমনায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া অটোচালক অপহৃত শিশু মো. রিয়াদ (১৩) ৪ দিনেও উদ্ধার হয়নি। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করে আদালতে সোর্পদ করেছে পুলিশ।

অপহৃত রিয়াদ উপজেলার নিলখী ইউনিয়নের মিরাশ গ্রামের মো.সিরাজ মিয়ার ছেলে ও নিলখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

সূত্র জানায়, রিয়াদ দরিদ্র ও সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রিয়াদ সবার ছোট। তার বাবার একার পক্ষে সংসার চালিয়ে তাদের পড়ালেখার খরচ চালানো সম্ভব হতো না, বিধায় নিজের পড়ালেখার খরচ জোগানো ও বাবার ওপর সংসারের অতিরিক্ত চাপ কমাতে স্কুল শেষে ভাড়ায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চালাতো রিয়াদ।

গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার পঞ্চবটি এলাকা থেকে যাত্রীবেশি কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

এ ঘটনায় রিয়াদের মামা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে পুলিশ ওই দিন রাতে  ইজিবাইকসহ মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানিঞ্জের উত্তর ত্রিশ এলাকা থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার পুলিশ আটক হওয়া তিনজনকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিয়াদের পারিবারিক সূত্র জানায়, অপহরণের দিন শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রিয়াদের মোবাইল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি ইজিবাইকসহ তাকে ফিরে পেতে চাইলে ইজিবাইকের মালিক মো.বাবুল মিয়ার মোবাইলে ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার দাবি করেন। কথামত রাতেই পরিবারের সদস্যরা মুরাদনগর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। ফোনে দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী ত্রিশ এলাকায় মুক্তিপণের জন্য অপেক্ষারত তিন যুবককে ইজিবাইকসহ আটক করে মুরাদনগর থানা পুলিশ। পরে আটক হওয়া তিনজনকে হোমনা থানায় সোপর্দ করা হয়।

আটককৃতরা হলো- দেবিদ্বার উপজেলার শিবনগর বক্স বেপারি বাড়ি গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), মুরাদনগর উপজেলার উত্তর ত্রিশ গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে মো.হেলাল (২৩) এবং একই গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে খাবির হোসেন (২৮)।

হোমনা থানা সূত্র জানায়, মোবাইলে মো.রিয়াদকে অপহরণের অভিযোগে মুক্তিপণ দাবির সূত্র ধরে মুরাদনগর থানা পুলিশ ওই তিনজনকে আটক করে হোমনা থানায় সোপর্দ করে। আটকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ‘ক্লু’ পাওয়া গেলেও রিয়াদকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

অপহৃত স্কুল ছাত্র রিয়াদ বেঁচে আছে কি না এ নিয়ে রিয়াদের পরিবার, তার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ উপজেলার সর্বত্র উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।