Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

রাজীবপুরে আনন্দ র‌্যালি কুড়িগ্রাম

রাজীবপুরে আনন্দ র‌্যালি

রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম) : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনোস্কোর “মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল” এ অন্তভূক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করায় রাজীবপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ শনিবার আনন্দ র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভায় উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের সকল সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারী, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মুক্তি যোদ্ধা সংসদ, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র, ছাত্রী ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহন করে। 

সকলের সমন্বয়ে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহড়ের গুরুত্ব পূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা পরিষদ চত্তরে এসে শেষ হয়।পরে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিউল আলম বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর বহমানের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়েই স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিল এবং দেশ স্বাধীন করেছিল।রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী রওশন ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন নতুন প্রজন্মেও কাছে মুক্তি যুদ্ধেও সঠিক ইাতহাস ও  ৭ মার্চেও ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরতেই আজকের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল হাই সরকার প্রমুখ।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। গত ৩১ অক্টোবর এই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে যে ভাষণে বলা হয়েছিল, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে তা বিশ্বের সম্পদ হিসেবে স্থায়ী আসন পেয়েছে।

এই স্বীকৃতি পেতে ইউনেসকোকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিল সরবরাহ করেছেন ফ্রান্সের প্যারিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মো. শহিদুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। এ জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ওই স্বীকৃতির সপক্ষে ১০টি প্রয়োজনীয় নথি,প্রামাণপত্র ও তথ্য জমা দেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে তথ্য মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করে।