Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

নলছিটিতে প্রেমে প্রতারিত হয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা! নারী ও শিশুঝালকাঠি

নলছিটিতে প্রেমে প্রতারিত হয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা!

“আমার এ মৃত্যুর জন্য দায়ী মুরাদ খলিফা। ও আমারে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমার জীবনটা নষ্ট করে দিছে। ও জোর করে আমার ইজ্জত নষ্ট করেছে। মুরাদ কোরআন শরীফ নিয়া মিথ্যা কথা দিয়া আমার সব কিছু কেড়ে নিয়া এখন ও সবকিছু অস্বীকার করতেছে। এখন ও আমারে চিনতেও পারে না। শপথ করে বলেছিলো আমারে ছেড়ে যাবে না, আমারে বিয়ে করবে আর এখন সবকিছু অস্বীকার করে। আমি অনেক কষ্ট নিয়ে এ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলাম। আমাকে সবাই ক্ষমা করে দিও। আমার ভালোবাসার মধ্যে কোন দোষ ছিলোনা। ও ইচ্ছে করেই আমার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছে। আমি চাই তোমরা ওর বিচার করো। তাহলেই আমার আত্মা শান্তি পাবে।” এভাবে করেই আত্মহত্যার পূর্বে ২ পৃষ্ঠার একটি চিরকুট লেখে চির বিদায় নেয় কলেজ ছাত্রী ঝুমা আক্তার (১৮)। 

সে বৃহস্পতিবার ভোরে নিজ ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহত ঝুমা আক্তার উপজেলার নলবুনিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ হাওলাদারের মেয়ে ও পাশ্ববর্তী রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ডিগ্রী কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। চিরকুটে অভিযুক্ত মুরাদ খলিফা নলছিটি উপজেলার উত্তর কাঠিপাড়া গ্রামের নান্না খলিফার ছেলে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

নিহত ঝুমা আক্তারের বাবা আব্দুল লতিফ হাওলাদার বলেন, বুধবার রাতে প্রতিদিনের মত ঝুমা ভাত খেয়ে ঘরের একটি কক্ষে ঘুমাতে যায়। এর পরে মুরাদের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে। ধারনা করা হচ্ছে মুঠোফোনে কথোপোকথনে প্রেমে প্রতারিতের বিষয়টি জানতে পেয়ে কষ্টে ঝুমা আক্তার আত্মহত্যা করে। যে আমার মেয়ের জীবন কেড়ে নিয়েছে আমি তাদের কঠিন বিচার চাই। ঘটনার পর থেকে মুরাদ খলিফা পলাতক রয়েছে। 

নলছিটি থানার ওসি এ কে এম সুলতান মাহামুদ জানান, ‘মৃতদেহ উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনহত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।