Opu Hasnat

আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মুক্তিপণের ১৭লাখ টাকাসহ আটক ৭ ডিবি কারাগারে কক্সবাজার

মুক্তিপণের ১৭লাখ টাকাসহ আটক ৭ ডিবি কারাগারে

ব্যবসায়ী আব্দুল গফুরকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মুক্তিপণের টাকাসহ আটক কক্সবাজার ডিবি পুলিশের ৭ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) আদালত তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।  

এর আগে পুলিশের এই ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করেন ঘটনার শিকার ব্যবসায়ী গফুর। মামলা দায়েরের পর ডিবির ৭ সদস্যকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে জামিনের আবেদন জানান। 

অতিরিক্ত চিফ জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরপরই বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের কক্সবাজার জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর দেড়টার দিকে তাদের বহন করা গাড়িটি কারাগারে পৌঁছে বলে জানান জেলা কারাগারের জেলার শাহাদত হোসেন।

আটক ডিবি পুলিশের সদস্যরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে এসআই মনিরুজ্জামান (৩৫), কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে এসআই আবুল কালাম আজাদ (৩৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে এএসআই গোলাম মোস্তফা (৩৬), লক্ষ্মীপুরের রামগতি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে এএসআই ফিরোজ আহমদ (৩৪), কুমিল্লার বুড়িচং এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে এএসআই আলা উদ্দিন (৩২) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সিমড়া এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে কনস্টেবল (কনং-১৪৪৫) মোস্তফা আজল (৫২) ও চাঁদপুরের মতলব মান্দারতলীর আশরাফ সরকারের ছেলে কনস্টেবল (কনং-৯০২) মো. আল আমিন (২৬)।

সেনাবাহিনীর তল্লাশির সময় জিম্মি করে টাকা আদায়কারীদের মাঝে এসআই মনিরুজ্জামান গাড়ির গ্লাস ভেঙে পালিয়ে যান। সেনা সদস্যরা গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তিপণের ১৭ লাখ টাকাসহ বাকিদের আটক করেন। সবাইকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর পলাতক মনিরুজ্জামান রাতে অফিসে হাজির হন।

এদিকে এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুলকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উখিয়া-টেকনাফ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা, এএসপি (ডিএসবি) আবদুস সহিদ, চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের এএসপি কাজী মো. মতিউল ইসলাম ও টেকনাফ থানার ওসি মাইন উদ্দিন খান।

উল্লেখ্য, টেকনাফের কম্বল ব্যবসায়ী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী গফুরকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে ফেরার সময় সেনাবাহিনির হাতে আটক হন ডিবির এই ৭ সদস্য। টেকনাফের মেরিনড্রাইভ সড়কে তাদের আটক হয়।