Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

সিইসি’র পদত্যাগ দাবি করলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী রাজনীতি

সিইসি’র পদত্যাগ দাবি করলেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুন:প্রতিষ্ঠাতা বলে প্রশংসা কারয় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগ দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশনের ভবনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে ইসির নির্ধারিত সংলাপ ছিলো। নির্ধারিত দুই ঘন্টারও বেশি সময় বৈঠকের পর শেষ সময়ে এসে দলের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ‘জিয়াউর রহমানকে গণতন্ত্রের পুন:প্রতিষ্ঠাতা’ বলার প্রসঙ্গটি তোলেন। এ সময় সিইসিকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ওই কথা বলে আপনি নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। হয় আপনি আপনার বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন, না হলে পদত্যাগ করবেন। এসময় কাদের সিদ্দিকী সংলাপ বয়কট করেন।

পরে তিনি বাইরে এসে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে আমাদের বক্তব্য অব্যাহত রাখতে পারি নাই। আমরা আলোচনা বয়কট করে চলে এসেছি। আমরা আলোচনা বয়কট করেছি এই জন্য যে, গতকাল সিইসি টোটাল কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে নয় তিনি এককভাবে বলেছেন যে, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করেছেন। যদি জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা করে থাকেন, তাহলে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে কেউ না কেউ হত্যা করেছে। সেই হত্যা করা, বাতিল করা, স্থগিত করা বা নির্বাসনে দেয়া গণতন্ত্রকে পুন:প্রতিষ্ঠা করেছেন জিয়াউর রহমান। তার (সিইসি) এই বক্তব্যের সাথে আমরা একমত না। সিইসি একটি নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। তিনি এ কথা বলতে পারেন না যে, জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন আর শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রকে হত্যা করেছেন। তাই আমি মনে করি সিইসির এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা উচিত। তিনি একটা অত্যন্ত কঠিন বেহিসেবি কথা বলেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সবার সাথে সমআচরণ করা উচিত। এটা আমাদের দেশে হয় না। আমাদের দেশে তেলা মাথায় তেল দেয়ার রেওয়াজ ভিষনভাবে দেখা যায়। নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৪০টি দলকে সংলাপে আহ্বান করেছে তাদের সঙ্গে নির্বাচন সম্পর্কে মতবিনিময় করার জন্য। এটা অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ।’

তিনি বলেন, ‘দেশে যে লড়াই সেটি গণতন্ত্রের লড়াই, সে লড়াই মানুষের অধিকারের লড়াই, সেই জন্য আমাদেরকে ডাকা। এই আলোচনায় আমরা অংশগ্রহণ করলেও সেটাকে আমরা স্বীকার করতে পারছি না।’

বঙ্গবীর বলেন, ‘যখন বিএনপি এখানে আলোচনা করতে এসেছিল। সেখানে বেশ সৌহার্দপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সেই জন্য আমরা যথেষ্ট আশাবাদী হয়েছিলাম। আমাদের আলোচনা ভালো হয়েছে। কিন্তু এখন আমাদেরকে বয়কট করতে হয়েছে। পদত্যাগ চাইতে হয়েছে।’

৩৪তম দল হিসেবে সংলাপে অংশ নিয়ে কাদের সিদ্দিকীর সমালোচনার মুখে পড়লো কেএম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন। বয়কটের আগে নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন, ইভিএম চালুসহ ১৮ দফা প্রস্তাব দেয় দলটি। সংলাপে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ২৭ সদস্যের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।  

উল্লেখ্য, রবিবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে দলটির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রশংসা করে সিইসি বলেন ‘বহুমত, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠন করেন। পরবর্তীতে বিএনপি সরকার গঠন করে। জিয়াউর রহমান ছয় বছর রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। তার মধ্য দিয়ে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠা হয়। সিইসি ওই সময় বিএনপি সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মাকান্ডের তথ্যও তুলে ধরেন।