Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

দামুড়হুদার দর্শনা কেরু চিনিকলের প্রায় সাড়ে ৬৬ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত চুয়াডাঙ্গা

দামুড়হুদার দর্শনা কেরু চিনিকলের প্রায় সাড়ে ৬৬ কোটি টাকার চিনি অবিক্রিত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরু চিনিকলের উৎপাদিত গত ৪ মৌসুমের প্রায় সাড়ে ৬৬ কোটি টাকার চিনি গুদামজাত হয়ে পড়ে রয়েছে। বাংলাদেশ চিনি  ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের নির্দেশে গত মাসের ২৫ তারিখ থেকে এক কেজির প্যাকেটে করে চিনি বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হলে তাতে বেশ সাড়া পড়েছে বলে চিনিকল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে নতুন এই প্রক্রিয়ায় কেরু চিনিকল থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার চিনি বিক্রি হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা যায়, গত ২০১১-১২ আখ মাড়াই মৌসুমের ২ হাজার ৪ দশমিক ৯০ মে.টন, ২০১২-১৩ মৌসুমের ৪ হাজার ৮ শত ৭৪ দশমিক ৯০ মে.টন, ২০১৩-১৪ মাড়াই মৌসুমের ৬ হাজার ২ শত ৪৮ দশমিক ২০ মে.টন এবং ২০১৪-১৫ মাড়াই মৌসুমের ৪ হাজার ৭ শত ৮০ দশমিক ১৩ মে.টন। যা গত ৪ মৌসুমের মোট চিনির পরিমাণ ১৭ হাজার ৯ শত ২৯ দশমিক ১৫ মে.টন। প্রতি কেজি ৩৭ টাকা কেজি দরে  বর্তমান বাজার মূল্য ৬৬ কোটি ৩০ লক্ষ ৮২ হাজার ৫ শত ৫০ টাকা।
এসব চিনি কেরুর চিনিকলের নিজস্ব গোডাউন প্রাইমারি স্কুলে, ডিষ্টিলারি গোডাউনসহ বিভিন্ন স্থানে গুদামজাত করা রয়েছে। চিনি বিক্রির অচলাবস্থা কাটাতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন কর্তৃক এক নির্দেশনায় এক কেজি প্যাকেট করে প্রতি মূল্য ৪২ টাকা ধরা হয়েছে। এভাবে বাজারজাত প্রক্রিয়া চলছে। এতে করে ১৫ দিনে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার চিনি বিক্রি হয়েছে।
মিল এলাকার চিনি ডিলার মো.আব্দুল খালেক জানান, এ ভাবে চিনি বিক্রি করেও কোনো লাভবান হওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আমাদেরকে (ডিলারদেরকে) গত ৪ মাস থেকে চিনি উত্তোলনের (ডি.ও) দেওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন জানান, নতুন করে এই বাজারজাত প্রক্রিয়া শুরু করায় চিনি বিক্রির ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। বিশেষ করে বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলে চিনির চাহিদা বেড়েছে , স্থানীয় ভাবে বাজারজাত করার জোর চেষ্টা চলছে। তিনি জানান, গত ১৫ দিনের ব্যবধানে এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার চিনি বিক্রি হয়েছে। এ অবস্থা চলমান থাকলে চিনি বিক্রির বাজার প্রসারিত হবে বলে আশা করছি।