Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

খাগড়াছড়িতে কোরবানি’র বাজারে বেঁচা-কেনায় মন্দা, প্রশাসনের কড়া নজরদারি খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে কোরবানি’র বাজারে বেঁচা-কেনায় মন্দা, প্রশাসনের কড়া নজরদারি

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ৯টি উপজেলার পার্বত্য জনপদে এবার কোরবানি’র হাটে বেঁচা-কেনায় মন্দাভাব বিরাজ করছে। ফলে খামারী ও কৃষকরা পুঁজি হারিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছে।  সোমবার ছিল খাগড়াছড়ির সদর ঐতিহ্যবাহী পেীরবাজারে হাঁটবার। জেলার পার্শ্বে চেংগী নদীর চরে বিশাল চর জুড়ে বসেছে গরুর হাঁট। ভোর হতে না হতে স্থানীয় খামারী ও কৃষকরা পালিত হাজার হাজার গরু নিয়ে বাজারে সমবেত হলেও বিকেল পর্যন্ত ৬৫শতাংশ গরু বেঁচা-কেনা হয়েছে গত বছরের চেয়ে ৩০শতাংশ কম বাজার মূল্যে। ফলে খামারী ও কৃষকরা পুঁজি নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন

সোমবারের বাজারে উঠা সবচেয়ে বড় পাহাড়ী মহিষ ষাঁড়টি বিক্রি হয়েছে ১লক্ষ ২৫হাজার টাকা মূলে। যেটি গত বছরের চেয়ে অন্তত ৪০হাজার টাকা কমমূলে। মহিষটির ক্রেতা খাগড়াছড়ি রিপোটার্স ইউনিটি’র সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো: জুলহাজ উদ্দিন এর ছোট ভাই মো: মাসেক। 

ব্যবসায়ী ও গরু বিক্রেতারা জানান, গত বছর কোরবানের বাজার থেকে ৭২ হাজার টাকায় ক্রয় করা গরুটিকে প্রাকৃতিক ঘাস, কুড়া, খৈল ও ভূষি খাইয়ে এটি ঘরে রেখে লালন-পালন করেছি। দৈনিক গরুটির পেছনে ২শত টাকার উর্ধ্বে ব্যয় হয়েছে। সে অনুযায়ী লাভ হয়নি। এভাবে দেশী গরুর বাজার কমে গেলে পূঁজি হারানোর আশংকায় খামারী ও কৃষকরা গরু পালনে আগ্রহ হারাবে। আর বাজারের সেরা গরুটি কিনেছেন মানিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও যোগ্যাছোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: জয়নাল আবেদীন। 

অন্যান্য বছর চট্টগ্র্রাম, নোয়াখালি, ফেনী, লক্ষীপুর, কুমিল্লার পাইকাররা এখানে এসে কোরবানের গরু কিনলেও এবার শুধু চট্টগ্রাম ও ফটিকছড়ি, নাজিরহাট থেকে কিছু পাইকার এসেছেন। ফলে পাহাড়ের গরু এবার সমতলে তেমন যাচ্ছে না।

চট্টগ্র্রাম থেকে আসা পাইকারী মো: জমির আলী জানান, সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতের গরু আসার কারণে দেশীর গরুর চাহিদা নেই। তারপরও দেশী পাহাড়ী গরুর মাংস স্বাদ এবং প্রাকৃতিক খাবারে বেড়ে উঠার কারণে বিত্তশালী ব্যক্তিরা পাহাড়ের দেশী গরু দিয়ে কোরবান করেন। আগামী বৃহষ্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলা সদর, বুধবার ও বৃহস্পতিবার উপজেলার তিনটহরী ও মানিকছড়ি বাজারে কোরবানের হাঁট বসবে বলে নিশ্চিত করেছেন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: নুরুল ইসলাম। 

এদিকে সব বাজারের আইন-শৃংখলা যে কোন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো: রাশেদুল ইসলাম, পৌর মেয়র মো: রফিকুল আলম, অফিসার ইনচার্জ মো: মাইন উদ্দীন খানসহ নকল টাকা রোধে ব্যংক কর্মকর্তারা পর্যবেক্ষণ দায়িত্বে থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে কড়াভাবে একাধিক পুলিশ টিম মোতায়েন করেছেন।