Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

নিরাপত্তা ইস্যুতে বিজিএমইএর জিরো টলারেন্স অর্থ-বাণিজ্য

নিরাপত্তা ইস্যুতে বিজিএমইএর জিরো টলারেন্স

নিরাপত্তা ইস্যুতে জিরো টলারেন্স দেখানো হবে, উল্লেখ করে বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬৬৯টি কারখানার মধ্যে সবগুলো কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৩ হাজার ৮১টি কারখানা ঝুঁকিমুক্ত। আর বাকি কারখানাগুলোকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং ৫২টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনের কনফারেন্স রুমে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য সাজ্জাদ করিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলো সংস্কারের ক্ষেত্রে আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে। অ্যাকর্ড এবং অ্যালায়েন্সের ফান্ড থেকে অর্থ ছাড় করলে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে।’
শ্রমিকদের বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য খরচও বেড়েছে জানিয়ে ক্রেতাদের প্রতি পোশাকের দাম বাড়ানোর আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
আতিকুল ইসলাম জানান, শ্রমিক কল্যাণে মোট রপ্তানি আয়ের ০.০৩ শতাংশ জমা করে একটি তহবিল তৈরি করা হয়েছে। যা প্রতি বছর ৭০ কোটি টাকার মতো হয়। এই টাকা সম্পূর্ণ শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে। ভবিষ্যতে এর পরিমাণ বাড়বে। এটা পোশাক মালিকদের নতুন একটি নীতি।
গত বছর ইউরোপের বাজারে ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘এটা সব দেশের মোট রপ্তানির ৬০ শতাংশ।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মাইয়েদুন বলেন, ‘যেসব দেশকে কোটামুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে বাংলাদেশ দক্ষতা, পরিশ্রম এবং কাজের নৈপুণ্য দেখিয়ে সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের উন্নয়নে ২০ মিলিয়ন ইউরোর একটি পকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’

এই বিভাগের অন্যান্য খবর