Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

গণধোলাই শেষে ৪ জনকে পুলিশে সোর্পদ

আলমডাঙ্গায় স্বামীকে তালাক দেয়ায় স্ত্রী অপহরণের চেষ্টা নারী ও শিশুচুয়াডাঙ্গা

আলমডাঙ্গায় স্বামীকে তালাক দেয়ায় স্ত্রী অপহরণের চেষ্টা

 চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ফিল্ম ষ্টাইলে তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীকে স্কুল থেকে অপহরণের চেষ্টা স্থানীয় জনতা রুখে দিয়ে সাবেক স্বামীকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের বড়-বোয়ালিয়া গ্রামের কাজল ইসলামের দশম শ্রেনীতে পড়–য়া মেয়ে সুমাইয়া (১৬) এর সাথে গাংনী থানার চৌগাছা গ্রামের সালামত আলীর ছেলে তরিকুলের গত ৯ মাস আগে প্রেমঘাটিত সম্পর্কের জেরে বিয়ে হয়।

এরই মাঝে পারিবারিক কলহের কারণে স্কুল পড়ুয়া সুমাইয়া বিয়ের কয়েক মাস পর থেকে বাবার বাড়ি থেকে থাকা শুরু করে। গত ২ মাস আগে সুমাইয়া নিজে কাজী অফিস থেকে স্বামী তরিকুলকে তালাক দিয়ে আবারো পড়াশোনা শুরু করে। তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে তরিকুল তার বোন জরিনা খাতুন (৩২) ও বড় ভাই নাহার আলীর স্ত্রী রাশিদা খাতুন (৩৩) ও মাইক্রোবাসের ড্রাইভার গাংনী থানা নিত্যনন্দপুর গ্রামের পলাশ মন্ডলের ছেলে সিপন (২৮) এর যোড়সাজসে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো ৫১-৩০৫২) নিয়ে সুমাইয়াকে অপহরনের উদ্দেশ্যে শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে সুমাইয়ার স্কুল আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে অপেক্ষায় থাকে।

এরপর দুপুর দেড়টার দিকে পরিক্ষা শেষে সুমাইয়া স্কুল থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে জোরপূর্বক সাদা মাইক্রোবাসের মধ্যে তাকে তুলে নিতে চেষ্টা চালায় স্বামী তরিকুল ও তার ভাবী, বোনেরা। এসময় সুমাইয়া নিজেকে বাচানোর জন্য চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয় জনগণ ছুটে আসে এবং সুমাইয়াকে পাষন্ড স্বামীর অপহরণের হাত থেকে উদ্ধার করে। স্থানীয় জনতা সুমাইয়ার স্বামী ও স্বামীর ভাবি, বোনকে গণধোলাই শেষে হাটবোয়ালিয়া ফাড়ি পুলিশের নিকট সোর্পদ করে।

এবিষয়ে, আলমডাঙ্গা থানার ওসি আকরাম হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে আটক ৪ জনসহ মাইক্রোবাসটি থানায় আনা হযেছে। সুমাইয়া নিজে বাদী হয়ে আটক ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।