Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

গাইবান্ধায় তৃতীয় দিনের অভিযানেও কিছুই পায়নি পুলিশ গাইবান্ধা

গাইবান্ধায় তৃতীয় দিনের অভিযানেও কিছুই পায়নি পুলিশ

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গাইবান্ধার চরাঞ্চলে জঙ্গি আস্তানার খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৃতীয় দিনের অভিযানে কাউকে আটক বা কোনো অস্ত্রশস্ত্রের খোঁজ পায়নি পুলিশ, মেলেনি কোনো জঙ্গি আস্তানাও।
 
শুক্রবার রাত ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তৃতীয় দিনের এই অভিযান চালানো হয় সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে।
 
সাঘটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ময়নুল হকের নেতৃত্বে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটসহ জেলা পুলিশ, গোয়েন্দা ও সাঘটা থানা পুলিশের ৫০ জনের দল হলদিয়া ইউনিয়নের চরদিঘলকান্দি ও প্রজাপতি চরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কেউ আটক হয়নি। জঙ্গি আস্তানা বা কোনো অস্ত্রশস্ত্রও মেলেনি।’
 
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হকের নেতৃত্বে চরবেষ্টিত সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দিঘলকান্দিসহ আশপাশের চরগুলোতে এ অভিযান চালানো হয়।
 
গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান রিংকু বলেন, আমরা সাঘাটা উপজেলার দুর্গম চরগুলোতে ব্লক রেইড (নির্দিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে) দিয়ে অভিযান চালিয়েছি। নদীতে পানি বেশি থাকায় চরগুলোতে মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অভিযানে কোনো জঙ্গি আস্তানা খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার বা কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
 
গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) মো. মইনুল হক বলেন, ওয়ারেন্টভুক্ত ও নিয়মিত মামলার আসামি গ্রেফতার, নৌ ডাকাতি প্রতিরোধ, এবং জঙ্গিদের তৎপরতা ও নাশকতা প্রতিরোধ এবং মানুষকে সচেতন করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
 
অভিযানে সহকারী পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. আসাদুজ্জামান রিংকু ও সাঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
 
এর আগে বুধবার গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের কযেকটি চরে অভিযান চালিয়ে একজন ডাকাতকে আটক করা হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে অভিযান চালিয়ে কিছুই পায়নি তারা।