Opu Hasnat

আজ ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ২০২৪,

ঝালকাঠি আধুনিক সদর হাসপাতাল

রোগী আছে, আছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মেশিনপত্রও, নেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার স্বাস্থ্যসেবাঝালকাঠি

রোগী আছে, আছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মেশিনপত্রও, নেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তার

রোগী আছে, নেই ডাক্তার। পড়ে আছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মেশিনপত্র। নেই বিশেষজ্ঞ অপারেটর। তাই গরীব ধনি সবাইকেই বেশি খরচে রোগ পরীক্ষায় যেতে হয় প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। ওষুধপত্র সরবরাহসহ আরও আছে রোগীদের নানা অভিযোগ। 

তবে নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, চেষ্টা চলছে সেবার মান বৃদ্ধি করার। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মোট ২৩ চিকিৎসকের ১৪টি পদই শূন্য। এরমধ্যে শিশু, গাইনী, সার্জারী ছাড়াও ৪ জন ইমার্জেন্সি চিকিৎসকের ৩টি পদই শূন্য। আল্টাসোনোগ্রাম, ইকো, ইএনটি মাইক্রোস্কোপসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। ফলে দামী দামী সব পরীক্ষার মেশিনপত্র অলস পড়ে আছে। আর তাই বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বাড়তি পয়সা গুনতে হচ্ছে গরীব অসহায় রোগীদেরও। ডাক্তার সংকটে বর্হিবিভাগেও প্রতিদিন তিন শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা পেতে চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। সেই সাথে ওষুধ সরবরাহ আরও সংকট জেলার এ আধুনিক হাসপাতালটিতে। 

হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, ১৯৮২ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে ঝালকাঠিতে জেলার আধুনিক প্রধান হাসপাতালটির যাত্রা শুরু হয়। ২০০৩ সালে একশো শয্যায় উন্নীত করা হয় এ হাসপাতালটিকে। কিন্তু এখনও ৫০ শয্যার চেয়েও কম জনবল দিয়েই হাসপাতালটির কার্যক্রম চলছে। হাসপাতালটিতে ৬ জন সিনিয়র কনসালটেন্টসহ ২৩ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও মেডিসিন ও শিশু বিশেষজ্ঞসহ ১৪ জন ডাক্তারের পদ শূন্য রয়েছে। মেডিকেল অফিসারের ৪ টি পদের তিনটিই শূন্য, রেডিওলজিস্ট, প্যাথোলজিস্ট ও সিপিএমও পদেও কেউ নেই। দ্বিতীয় শ্রেণির ৬৭ টি পদের মধ্যে দুইটি, ৩য় শ্রেণির ১৮ পদের মধ্যে ৫টি এবং ৪র্থ শ্রেণির ২১ পদের মধ্যে ৫ টি শূন্য রয়েছে। 

চিকিৎসক সংকটে সদর হাসপাতালটির বেহাল চিত্র আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: গোলাম ফরহাদ  নিজেও তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষার মেশিনপত্র রয়েছে। চিকিৎসক সংকটের কারণে এসব মেশিন ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই রোগীদেরও বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে। 

ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা: শ্যামল কৃষ্ণ হাওলাদার জানান, এসব সমস্যার কথা মন্ত্রণালয়কে বার বার অবগত করা হয়েছে। তবে খুব শীঘ্রই সারাদেশ দশ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করার ঘোষণা রয়েছে। তা বাস্তবায়িত হলে চিকিৎসক সংকট অনেকটা সমাধান হবে। তবুও সংকট নিয়েই ঝালকাঠি সদর হাসপাতালটির সেবার মান বৃদ্ধিতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, জানান জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এই প্রধান কর্মকর্তা।

এই বিভাগের অন্যান্য খবর