Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

অপারেশন ‘ঈগল হান্ট’ সমাপ্ত, ৪ জঙ্গির মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জ

অপারেশন ‘ঈগল হান্ট’ সমাপ্ত, ৪ জঙ্গির মরদেহ উদ্ধার

চাপাইনবানগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার জঙ্গি আস্তানায় পরিচালিত অপারেশন ঈগল হান্ট সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। জঙ্গি আস্তানা থেকে জেএমবি সদস্য আবুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত চারজনই পুরুষ। এরা সকলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মারা গেছে। এদের একজন আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবু ওরফে রফিকুল ইসলাম। তিনি এই বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন। অন্যদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এদিকে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫মিনিটে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশিদ আলম সংবাদ সম্মেলন করে অপারেশন ঈগল হান্ট সমাপ্ত হওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান। 

তিনি বলেন, অপারেশন ঈগল হান্ট সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ওই আস্তানা থেকে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি সদস্য আবুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে বিকেল ৪টার দিকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে আহ্বান জানায় পুলিশ। সে সময় এ আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি। ওই আহ্বানের পর একপর্যায়ে ‘জঙ্গি আস্তানা’থেকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিআইজি বলেন, যে চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে,  তারা সকলে আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত হয়েছেন। আর আবুর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা চালানোর কারণে অপারেশন শেষ হতে অনেকটা সময় লেগেছে। নিহত অন্য তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করেননি তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে আবুর মেয়ে নূরী (৭) ও বিকেল ৫টার দিকে স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমাইয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সোয়াতের সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে দুই দিন ধরে চলা ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বুধবার ভোরে শিবগঞ্জ উপজেলার ত্রিমোহনী গ্রামের এই বাড়িটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখানে জঙ্গিদের অবস্থানের খবর পেয়ে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার মুজাহিদুল ইসলাম।

শিবনগর-ত্রিমোহনী গ্রামে আমবাগান ঘেরা এই বাড়িটি পুলিশ ঘেরাও করার পর সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে অভিযান চালায় পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াতের সদস্যরা। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’  স্থগিত করেন তারা। রাতের বিরতির পর সকাল ৯টার দিকে ফের অভিযান শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর ঘণ্টাখানেক গুলির শব্দ শোনা যায়। সকাল ১০টা ৬ মিনিটে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
 
এদিকে, নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এসময় সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণির মানুষকে ঘটনাস্থল থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়।