Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

আদালত অবমাননা: জনকণ্ঠের সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদক সময় পেলেন মিডিয়া

আদালত অবমাননা: জনকণ্ঠের সম্পাদক-নির্বাহী সম্পাদক সময় পেলেন

জনকণ্ঠ পত্রিকায় লিখিত নিবন্ধের জন্যে কেন আদালত অবমাননা হবে না- এ সম্পর্কে জানতে চাওয়া রিটের জবাবের জন্যে তিন মাসের সময় চেয়ে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক-প্রকাশক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় আবেদনের প্রেক্ষিতে সময় পেয়েছেন আগামি রবিবার পর্যন্ত।

আগামী রবিবারের (৯ আগস্ট) মধ্যে তাদেরকে জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

সোমবার (৩ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হাজির হয়ে জবাবের জন্য তিন মাস সময় চাইলে তা না-মঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হয়। এরপর অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের কাছে আদালতের নির্দেশনার কথা জানান।

তিনি জানান, রবিবারের মধ্যেই জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই দিন অভিযুক্ত দুইজনকে হাজির হতেও বলেছেন আদালত। চলতি মাসের ১৬ জুলাই ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা।। পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে একটি কলাম প্রকাশ করে দৈনিক জনকণ্ঠ। যার লেখক নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।

এ কলামে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে গত ২৯ জুলাই আদালত দুই অভিযুক্তকে ৩ আগস্ট হাজির হওয়ার জন্য তলব করেন।

জনকণ্ঠের ওই কলামের একটি স্থানে বলা হয়েছে, ‘পিতা মুজিব! তোমার কন্যাকে এখানেও ক্রুশে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই যদি না হয়, তাহলে কিভাবে যারা বিচার করছেন সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে না অন্য পথে? ভিকটিমের পরিবারের লোকদেরকে কি কখনও কোন বিচারপতি সাক্ষাৎ দেয়। বিচারকের এথিকসে পড়ে! কেন শেখ হাসিনার সরকারকে কোন কোন বিচারপতির এ মুহূর্তের বিদেশ সফর ঠেকাতে ব্যস্ত হতে হয়। যে সফরের উদ্যোক্তা জামায়াত-বিএনপির অর্গানাইজেশান। কেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী আগে গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। কী ঘটতে যাচ্ছে সেখানে। ক্যামেরনই পরোক্ষভাবে বলছেন সকল সন্ত্রাসীর একটি অভয়ারণ্য হয়েছে লন্ডন।’

লেখকের এইসব বক্তব্যকে আদালত অবমাননা হিসেবে নির্দেশ করেই জনকণ্ঠের সম্পাদক-প্রকাশক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে তলব করেন সুপ্রিম কোর্ট।