পাইকগাছায় মামলাবাজ এনামুলের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে ভূক্তভোগীদের সংবাদ সম্মেলন খুলনা / 
পাইকগাছায় মামলাবাজ এবিএম এনামুল গং চাঁদাবাজী মামলা থেকে রেহাই পেতে দু’ওসি, তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা, সমিতির সভাপতি, সম্পাদক সহ অর্ধশত ব্যক্তির নামে আদালতে মামলার ঘটনায় ভূক্তভোগীরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গতকাল বিকেলে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে পূর্ব গজালিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উলেখ করেছেন, উপজেলার গড়ইখালীর উত্তর আমিরপুরের মাহমুদ গাজীর ছেলে ভূমিদস্যু এনামুল পুলিশসহ তাদেরকে জড়িয়ে একের পর এক হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে। লিখিত সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি ছালাম গাজী ও সহ-সভাপতি রুস্তম ঢালী জানান, উপজেলার সায়রাত ১২/১৫ মিনাজ বদ্ধ জলমহলের সাবেক ইজারাদার পাতড়াবুনিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি কেরামত আলী গাইন এক পর্যায়ে রাজস্ব দিতে ব্যর্থ ও সাব-লীজ দেয়ার অভিযোগে এনামুলের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মোঃ ফরিদ হোসেন গত ০২/০৭/১৫ তারিখে ইজারা বাতিল করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট কমিটি বাংলা ১৪২২-২৪ পর্যন্ত ৩ বৎসর মেয়াদী ২৫১.২৭ একরের জলমহলটি পূর্ব গজালিয়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর ইজারা দেন। আমমোক্তারনামার আড়ালে বি.এম এনামুল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জলমহলের ১২ আনা শেয়ার হোল্ডার দাবী করে পুরো জলমহলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করলে উভয়ের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় এবং মামলায় জড়িয়ে পড়ে। নেতৃবৃন্দ উলেখ করেছেন, এ পর্যন্ত এনামুলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, স্বাক্ষর জালিয়াতিসহ হাফ ডজন মামলা চলমান রয়েছে এবং সাবেক ইউএনও’র দায়ের করা সি.আর ১৭১/০৬ সহ একাধিক মামলায় সে জালহাজতে যায়। অনেক মামলায় পুলিশ তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছেন। সর্বশেষ থানায় ২৭/০২/১৭ তারিখে চাঁদাবাজীর অভিযোগে পূর্ব গজালিয়ার মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি রুস্তম ঢালীর দায়ের করা ৪১নং মামলার পর এনামুল বেপরোয়া হয়ে সুবিধা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে ওসি, ওসি (তদন্ত) ও মামলা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা সহ আমাদের নামে মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন বলে ছালাম ও রুস্তম ঢালী গংরা জানিয়েছেন।