Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

খাগড়াছড়িতে পৃথকভাবে আ’লীগের দুই গ্রুপের গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়িতে পৃথকভাবে আ’লীগের দুই গ্রুপের গণতন্ত্রের বিজয় দিবস পালন

খাগড়াছড়ির পার্বত্য জেলায় দিনব্যাপী পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ পৃথকভাবে ’গণতন্ত্রের বিজয় দিবস” পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির নেতৃত্বে কদমতলী এলাকা থেকে একটি বিশাল বর্ণাঢ্য বিজয় র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে টাউন হল প্রাঙ্গণে এসে সমাবেশ করে। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল প্রাঙ্গনে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভার্স্কয্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

টাউন হল প্রাঙ্গণে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের সভাপতি ও খাগড়াছড়ি ২৯৮নং আসনে সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এ সময় জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা, সহ-সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও পাজেপ সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দে’সহ অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য সাহাব উদ্দিন মিয়া, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মংশিপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশুতোষ চাকমা, জুয়েল চাকমা, জেলা সন্ত্রাস ও নৈরাজ দূরনীতি কমিটির সদস্য সচিব মোঃ শানে আলম।

কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে আওয়ামীলীগের উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্ত করা যাবে না। ক্ষমতা যাবার আগে কথা বলেন এক ধরণের, ক্ষমতা গেলে নিজের আখের গোচানো ব্যস্ত থাকেন। সাধারণ জনগণের কথা মনে রাখেন না। সে জন্য জনগন আজ আপনাদেরকে প্রত্যাখান করছে, জনগণের চেহারা দেখে ওনাদের ভাষা বুঝার চেষ্টা করেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তি পর পার্বত্য এলাকায় পাহাড়ী-বাঙ্গালী এলাকায় অলি-গলিতে যে উন্নয়ন হয়েছে সে গুলি আজ জনগণ চোখে অন্যরকম দেখার মত। সে উন্নয়ন দেখে বিএনপি নেতা কি ভাবে ভোট চাইবে। নেতা-কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন জনগণের ভাষা বুঝে, উন্নয়নের বাকী যে কাজ গুলি তারাতারিতে সমাপ্ত করে নৌকা প্রতীকের জন্য কাজের লিপ্ত করা। পার্বত্য এলাকার শান্তি-সম্প্রীতি-উন্নয়ন একটি মাত্র প্রতিকী সেটা হচ্ছে নৌকা।

অপরদিকে, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহেদুল আলমের অনুসারীরা নারিকেল বাগানস্থ দলীয় কার্যালয়ে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে।