Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

খাগড়াছড়ির রোগী কাতরাচ্ছেন হাসাপাতাল বেডে, ডাক্তার খেলার কোটে খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ির রোগী কাতরাচ্ছেন হাসাপাতাল বেডে, ডাক্তার খেলার কোটে

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: রাজেন্দ্র ত্রিপুরার ব্যক্তিগত কার গাড়ির ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়ে বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছিলেন আশরাফুল হোসেন(৩২), তার শিশু কন্যা আফরিন আক্তার (০৭)। আর ঠিক ওই সময়ে জেলা সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: ত্রিটন চাকমা কোয়ার্টারে গিয়ে বেডমিন্টন খেলায় ব্যস্ত। রাত ৯টায় হাসপাতালের অফিস কক্ষে গিয়ে এক মেডিকেল সহকারীকে পাওয়া যায়। তার কাছে ডাক্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান ডাক্তার রাউন্ড আপে দ্বিতীয় তলায় গেছেন। কিন্তু দ্বিতীয় তলায় গিয়ে ডাক্তারকে না পেয়ে কর্তব্যরত নার্সকে ডাক্তারের কথা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, উপরে কোন ডাক্তার আসেননি। নিচে এসে হাসপাতালের এক পিয়নের কাছ থেকে জানা যায়, দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা: ত্রিটন চাকমা ডাক্তারদের আবাসিক কোয়ার্টারের মাঠে বেডমিন্টন খেলছেন।

পরে সেখানে গিয়ে দেখা যায় ডা: ত্রিটন চাকমা অন্যান্য চিকিৎসকদের সাথে বেডমিন্টন কোটে খেলছিলেন। পরিচয় জানার পর তিনি কোট থেকে বের হয়ে এসে জানান, ”রোগী না থাকায় একটু খেলাধুলা করছি। আর একটু আগে সড়ক দুর্ঘটনার যে রোগীরা এসেছে তাদের দেখে বেডে পাঠিয়েছি। খেলা শেষে গিয়ে আবার মেডিকেল রাউন্ডআপে যাব।”

খাগড়াছড়ি জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক(আরএমও) ডা: নয়ন ময় ত্রিপুরা হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন না। মুঠোফোনে কল দিয়েও কথা বলা যায়নি।

সিভিল সার্জন ডা: নিশিত নন্দী মজুমদার জানান, দায়িত্বরত সময়ে চিকিৎসককে অবশ্যই হাসপাতালেই অবস্থান করতে হবে। যদি কেউ তা না করেন তবে সেটি নিয়ম বর্হিভূত। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৮টার দিকে জেলা শহরের মাস্টারপাড়া মুখ এলাকায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: রাজেন্দ্র ত্রিপুরার কারের ধাক্কায় জেলা সদরের গামারীঢালা এলাকার বাসিন্দা আজির আলীর ছেলে আশরাফুল হোসেন, তার শিশু কন্যা আফরিন আক্তার ও শ্যালিকা সুমাইয়া আক্তার আহত হয়। এর আগেও ডাঃ রাজেন্দ্র ত্রিপুরার বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ নতুন নয়। গেল বছরেই মাতাল হয়ে গাড়ি চালিয়ে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে এক শিশুকে চাপা দেয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি।