Opu Hasnat

আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার ২০২৪,

মাগুরায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বানিজ্য, প্রতিকার চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে এলাকাবাসির প্রার্থনা শিক্ষামাগুরা

মাগুরায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বানিজ্য, প্রতিকার চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে এলাকাবাসির প্রার্থনা

মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলায় শ্রীপুর পাইলট হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসি শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। শ্রীপুর ইপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধু সুধন সাহা এঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। 

এলাকাবাসির অভিযোগে বলা হয়েছে, শ্রীপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শওকত আলী অবসরে যাওয়ায় পদটি শূন্য হয়। নিয়ম মাফিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করলে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক শামিমুল ইসলাম স্থানীয় একজন প্রভাবশালী লোক হওয়ায় যোগ্য কোন প্রর্থীকে আবেদর করতে দেন নাই। শামিমুল ইসলাম ২০০০ সালে এই বিদ্যালয়ে ভকেশনাল শাখায় ল্যাব এ্যাসিস্টট্যান্ট হিসাবে ৩ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে যোগদান করেন। পরবর্তিতে ৫ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে সহকারি শিক্ষক(কম্পিউটর) পদে যোগদান করেন। এসময় শিক্ষা মন্ত্রনালয় ইং ৭.২.২০০১ তারিখে স্বারক নং১১/ বিবিধ-৫/৯৪(অংশ-৬)১৭১(২) এক প্রজ্ঞাপনে আদেশ দেন যে কোন প্রার্থী শিক্ষা জীবনে তৃতীয় বিভাগে পাশ করলে তাকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাবেনা। এই আদেশ ২.৪.২০০৩ তারিখ পর্যন্ত বলবত ছিলো। কিন্তু প্রভাবশালী শিক্ষক শামিমুল ইসলাম ১.৪..২০০৩ ঐ আদেশ অমান্য করে প্রভাব খাটিয়ে ও উৎকোচের বিনিময়ে সহকারি শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে শামিমুল ইসলাম ২০১৪ সালে ১০ লাখ টাকা উৎকোচ দিয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগলাভ করে। শ্রীপুর সদর ইউনিয়নের অপর প্রভাবশালী চেয়ারম্যান মশিউর রহমান তাকে একাজে সহায়তা করেন। বর্তমানে ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের সহযোগীতায় শ্রীপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে শামিমুল ইসরাম নিয়োগ লাভের জন্য ১৫ লাখ টাকা উৎকোচ প্রদান করে  অন্য প্রার্থীদের কোন আবেদন করতে দেন নাই। ইং ১২.৭.১৫ তারিখে শ্রীপুর হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে যাচাই বাছাইয়ের সময় শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মধুসুধন সাহা নিয়োগ কমিটিকে এবিষয়ে অবহিত করেন যে, শামিমুল ইসলামের কম্পিইটার শিক্ষক নিয়োগকালে কাগজ পত্র বৈধ ছিলো না। ক্ষমতাসীন কতিপয় লোক উৎকোচ বিনিময়ে একজন সন্ত্রাসী, প্রবাবশালী, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ লোক কে প্রধান মিক্ষক পদে নিয়োগের  অপচেস্টা সফল হলে এই বিদ্যালয়ের সুনাম, ঐতিহ্য ও লেখা পড়ার মান নিম্নগতির দিকে যেতে বাধ্য হবে।

অভিযোগকারিরা বলেন শামিমুলের শিক্ষা জীবনে এস.এস.সি-২য় বিভাগ, এইচ.এস.সি-৩য় বিভাগ, যা কিনা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের আদেশের পরিপন্থি। এছাড়াও ঐ শিক্ষকের নামে শ্রীপুর থানায় ও মাগুরা আদালতে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাশী মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এলাকা ও বিদ্যালয়ের স্বার্থে এবিষয়ে অবিলম্বে সুষ্টু তদন্ত ও আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকাবাসি শিক্ষা মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছে।