Opu Hasnat

আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার ২০২৪,

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা

দুই দুর্নীতি মামলার পরবর্তী সাক্ষ গ্রহন ৩ আগষ্ট রাজনীতিআইন ও আদালত

দুই দুর্নীতি মামলার পরবর্তী সাক্ষ গ্রহন ৩ আগষ্ট

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৩ আগস্ট।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে আসামিপক্ষের আংশিক জেরা শেষে আজ (২৩ জুলাই) এ দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সোয়া পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ওই দুই দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে। 

দুই মামলায়ই এ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন প্রথম সাক্ষী হারুন-অর রশিদ। এর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে আসামিপক্ষের জেরা শুরু হয়েছে গত ১৮ জুন। বৃহস্পতিবার তাকে আংশিক জেরা করেন খালেদা জিয়ার পক্ষে তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। 

আগামী ধার্য তারিখে দুই মামলায়ই প্রথম সাক্ষীর জেরা শেষ হলে বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে। 

মামলা দু’টির প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ জামিনে থাকা আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। 

আদালতে শুরুতেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী হারুন-অর রশীদকে জেরা পেছানোর আবেদন জানান খালেদার আইনজীবীরা। তারা আবেদনে উল্লেখ করেন, সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল চেয়ে করা খালেদা জিয়ার আবেদন সম্প্রতি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে তারা আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করবেন। কিন্তু আদেশের কপি পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করে জেরা স্থগিতের আবেদন জানান আইনজীবীরা। 

আদালত আবেদনটি নথিভুক্ত করে আগামী ধার্য তারিখের আগেই উচ্চ আদালতে শুনানি শেষ করার আদেশ দেন।

অন্যদিকে জামিনে থাকা দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খানের জামিন স্থায়ী করার আবেদন জানান তাদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এন এম আবেদ রাজা। এ আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

দুদকের পক্ষে আদালতে ছিলেন সংস্থার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল। 

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন। খালেদা ছাড়া অন্য পাঁচজন হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক, বাকিরা জামিনে আছেন।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডবিøউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে আছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।