Opu Hasnat

আজ ২০ এপ্রিল শনিবার ২০২৪,

পাইকগাছা পৌরসভার অভ্যন্তরে চলছে অবৈধ দখল খুলনা

পাইকগাছা পৌরসভার অভ্যন্তরে চলছে অবৈধ দখল

পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা নামে খ্যাত এ পৌরসভাটি চলছে যত্রতভাবে। মানুষের বসবাস থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে বিধি বহির্ভূতভাবে। দেখার কেউ নেই। কর্তৃপক্ষ নিরব। স্বচ্ছ পৌরসভার দাবী জানিয়েছেন পৌরবাসী। 

তথ্যে প্রকাশ, শিবসা নদীর অববাহিকতায় প্রতিষ্ঠা হয়েছে ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্র“য়ারি পাইকগাছা আলোকিত পৌরসভা। উক্ত শিবসা নদীটি পলি জমে চরাঞ্চলে রূপ নিয়েছে। বেড়েছে পৌরসভার সীমানাও। পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর ও তার পরিষদবর্গের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পৌরসভাটি তৃতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীতে রূপান্তরিত হয়েছে। বেড়েছে পৌরসভার সরকারী বাজেট ও জনসেবা। কিন্তু পৌর এলাকার চরা ভরাটি ও বিভিন্ন এলাকার পতিত জায়গা চলে যাচ্ছে প্রভাবশালীদের দখলে। আইনের তোয়াক্কা না করে পৌরসভা ও জেলা প্রশাসকের সরকারী জায়গায় দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। বিশেষ করে, শিবসা নদীর চরা ভরাটি এলাকায় গড়ে উঠেছে একাধিক চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। শিবসা ব্রীজ, ডিপো মার্কেট, শিববাটী ব্রীজ, পুরাতন ট্রলার ঘাট, খেয়াঘাট সহ বিভিন্ন এলাকার এক শ্রেণীর ভূমিদস্যুরা দোকানপাট ও বাড়ী ঘর তৈরী করে দখল করে নিচ্ছে। 

পাইকগাছা উপজেলার সাবেক নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কবির উদ্দীন বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের স্বার্থে এলোপাতাড়ী চায়ের স্টলগুলো সরিয়ে চর ভরাটি জায়গায় বসানোর জন্য বাজার ইজারাদারের উপর দায়িত্ব অর্পণ করেন। এ সুযোগে তারা চায়ের দোকানদারসহ তাদের নিজেদের পরিবারের লোকজনের নামে পজেশনের তালিকা প্রণয়ন করেন। সেখান থেকে চায়ের দোকানদাররা অদ্যাবধি পর্যন্ত তাদের দখলীয় কাগজপত্র তৈরী করতে পারেনি। এছাড়া অত্র চরভরাটি এলাকায় প্রভাবশালীরা অবৈধ দখলে মেতেছে। জানা যায়, শিবসা নদীর চর ভরাটিয়া জায়গা পৌর অভ্যন্তরে হলেও মালিক জেলা প্রশাসক। যে কারণে পৌর কর্তৃপক্ষ রয়েছে দো-টানায়। 

পৌর মেয়র সেলিম জাহাঙ্গীর জানান, চরা ভরাটিসহ পতিত জায়গা পৌরসভার অনুকুলে আনার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আনতে পারলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে স্বচ্ছ পৌরসভা গড়া হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল হক জানান, শিবসা চর ভরাটি এলাকা অবৈধ দখলের কথা শুনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।