Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় শাল্লা ইউএনওকে প্রত্যাহার মিডিয়াসুনামগঞ্জ

সাংবাদিককে নির্যাতনের ঘটনায় শাল্লা  ইউএনওকে প্রত্যাহার

সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আসিফ বিন ইকরামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার বিকালে তাঁকে শাল্লা থেকে প্রত্যাহার করে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকেরা ওই ইউএনওকে প্রত্যাহারের দাবিতে জেলা শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। পরে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর কাছে একই দাবিতে স্মারকরিপি দেন তাঁরা। সাংবাদিকেরা ইউএনওকে প্রত্যাহারে সাত দিনের সময় বেধে দিয়েছিলেন। 

গত রোববার সকালে শাল্লা উপজেলা বাজারে স্থানীয় সাংবাদিক বকুল আহমেদ তালুকদারকে মারধর করেন ইউএনও ইকরাম। আহত অবস্থায় তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বকুল সিলেট থেকে প্রকাশিত দৈনিক শ্যামল সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে প্রকাশিত দৈনিক হিজল-করচ’র শাল্লা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। ইউএনও বকুল আহমেদকে মারধরের পর পুলিশকে নির্দেশ দেন তাকে গ্রেপ্তারের জন্য। পরে তিনি দৌঁড়ে সেখান থেকে সরে যান। এরপর উপজেলা পরিষদের গেটের পাশে থাকা বকুল আহমেদের একটি দোকান ঘর ভেঙ্গে সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেন তিনি। পরদিন সোমবার বিকালে স্থানীয় আরেক সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাসের দোকানঘর সেখান থেকে একইভাবে উচ্ছেদ করেন তিনি। 

উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে সরকারের ১০টা কেজির চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন ইউএনও। কিন্তু উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ওই ঘরের বারন্দায় ওঠার স্থানটি কিছুটা নিচু হওয়ায় সেখানে চালভর্তি বস্তা ফেলে সিঁড়ি উঁচু করা হয়। পরদিন এ নিয়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ইউএনও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এবং উপজেলার সাংবাদিকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এক মারধর এবং অন্যদের দেখে নেওয়ার হুমকির পর ওই ইউএনওর ভয়ে উপজেলা ছেড়ে জেলা শহরের এসে আশ্রয় নেন সেখানকার সাংবাদকর্মীরা।

ইউএনও আসিফ বিন ইকরাম তাঁর আগের কর্মস্থল সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় থাকাকালেও সেখানে এক পাথর ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পরিবেশবিধ্বংসী বোমামেশিন চালানোর সুযোগ দেওয়ার কথা বলে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে জামা রেখে দেন। এ নিয়ে প্রথম আলোয় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়ায় তার দুটি বেতন বৃদ্ধি (ইনক্রিমেন্ট) বন্ধ রেখেছে।

জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম  প্রত্যারের বিষয় নিশ্চিত করেন।