Opu Hasnat

আজ ২৯ মার্চ শুক্রবার ২০২৪,

তৃতীয় দিনেও নৌযান ধর্মঘট অব্যাহত সারাবাংলা

তৃতীয় দিনেও নৌযান ধর্মঘট অব্যাহত

নৌযানশ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের তৃতীয় দিন চলছে। ধর্মঘটের কারণে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীরা পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। অনেক যাত্রী লঞ্চঘাটে গিয়ে ফেরত আসছে। অনেককে আবার বিকল্প পথে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। তবে বুধবার রাতে সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে ২৭টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) দক্ষিণাঞ্চলের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, বুধবার ধর্মঘটের মধ্যেই সন্ধ্যার পর থেকে এসব লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

অপরদিকে ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। একই অবস্থা অন্যান্য বন্দরেও।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান, ১৫ দফা দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। তবে মূল চারটি দাবি হলো- নৌযান শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, নৌদুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, নদীপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা এবং নৌপথের নাব্যতা বাড়ানো।

তিনি বলেন, প্রধান চারটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখেবেন তারা।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনসহ কয়েকটি সংগঠনের ডাকে ১৫ দফা দাবিতে গত সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়।দাবিগুলোর মধ্যে ৪টি প্রধান দাবি পূরণ হলেই কেবল তারা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন বলে জানান। শ্রমিকদের প্রধান ৪টি দাবি হলো- নৌযান শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, নৌদুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, নদীপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা এবং নৌপথের নাব্যতা বাড়ানো।

নৌযানশ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘১৫ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। তবে মূল চারটি দাবি হলো নৌযানশ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, নৌদুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা, নদীপথে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা এবং নৌপথের নাব্যতা বাড়ানো। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’

এ নিয়ে চলতি বছর তৃতীয়বারের মতো ধর্মঘট করছেন নৌযানশ্রমিকেরা। গত ২০ জানুয়ারি প্রথম দফায় ধর্মঘট করেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়ায় ২০ মার্চ দ্বিতীয় ও ২২ আগস্ট তৃতীয় দফায় ধর্মঘট ডাকা হয়।