শনিবার যাত্রা করতে যাচ্ছে সর্বাধুনিক ট্রেন ‘সোনার বাংলা’ জাতীয় / 
শনিবার যাত্রা করতে যাচ্ছে সর্বাধুনিক ট্রেন ‘সোনার বাংলা’। এদিন সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের রেলজগতের সর্বাধুনিক বিলাসবহুল ট্রেনটির।
শনিবার সকালে উদ্বোধনী আয়োজনের অংশ হিসেবে রঙিন কাপড়, ফুলে মোড়ানো হয়েছে লাল-সবুজ আর সাদা রঙের ট্রেনটি। ৭৮৮ নম্বরের সোনার বাংলার প্রথম গন্তব্য চট্টগ্রাম।
রোববার যাত্রীসহ সকাল ৭টায় ট্রেনটি আবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবে।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে সোনার বাংলা ট্রেনটি রেলস্টেশনের মূল প্লাটফর্মে নিয়ে আসা হয়। প্রতিদিন সকাল ৭টায় ঢাকা থেকে বিরতিহীনভাবে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে। একইভাবে চট্টগ্রাম থেকে বিকেল ৫টায় ছেড়ে পাঁচ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে পৌঁছাবে ঢাকায়। শনিবার ছাড়া সপ্তাহের সবদিন এ নিয়মে চলবে সোনার বাংলা। সুবর্ণ এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনটিতে ঢাকায় শুধু কমলাপুর ও বিমান বন্দর স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠা-নামা করবে।
ট্রেনের পরিচালক ফারুক আহমেদ জানান, সোনার বাংলায় রয়েছে দুটি এসি স্লিপিং চেয়ার, চারটি এসি চেয়ার, সাতটি শোভন চেয়ার, একটি খাবার গাড়ি ও একটি পাওয়ার কার। প্রতিটি এসি চেয়ারে ৫৫টি, এসি স্লিপিংয়ে ৩৩টি, শোভন চেয়ার ৬০টিসহ ৭৪৬টি আসন রয়েছে। এসি স্লিপিং চেয়ার এক হাজার ২০০ টাকা, এসি চেয়ার ১ হাজার টাকা আর শোভন চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০০ টাকা।
আধুনিক এ ট্রেনটির প্রতিটি আসন করা হয়েছে পর্যাপ্ত জায়গা নিয়ে। শোভন থেকে শুরু করে স্লিপিং- প্রতিটি আসনে যাত্রীরা যাতে আরামে বসতে পারেন সেজন্য এক আসন থেকে আরেক আসনের যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা রাখা হয়েছে। লেদারের কোমল আসন এসি ও শোভন সিটগুলোতে।
বর্তমানে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের একমাত্র বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সুবর্ণ এক্সপ্রেসের ৭০১ নম্বর ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছে। আর ৭০২ নম্বর ট্রেনটি ঢাকা থেকে বিকেল ৩টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম আসে রাত সাড়ে ৮টায়।
এ ছাড়া ট্রেনের ভেতরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব ডিভাইস রয়েছে। রাখা হয়েছে ডিজিটাল অ্যালার্ম ব্যবস্থা। ট্রেনের পেছন থেকে একেবারে ইঞ্জিন পর্যন্ত যাত্রীরা অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবেন।
ট্রেনটিতে মানসম্মত খাবর সরবরাহ করবে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। রমজান মাসে ইফতার বক্স দেওয়া হবে যাত্রীদের। এরজন্য অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে না। ভাড়ার মধ্যেই এটা অন্তর্ভুক্ত।