উত্তরার আলাউদ্দিন মার্কেটের অগ্নিকান্ডে নিহত ৫ জাতীয় / 
রাজধানীর উত্তরার আলাউদ্দিন মার্কেটের ক্যাপসুল লিফট ছিড়ে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ জন। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার আলী আহমেদ পাঁচজনের নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) শাকিল নেওয়াজ জানান, আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানতে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক মোজাম্মেল হককে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার ইফতারের আগ মুহূর্তে (সাড়ে ৬টা) ১৬ তলা ভবনের ওই মার্কেটের লিফট ছিড়ে নিচে থাকা এসির ওপর পড়লে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্র জানান, রাত ৮টার কিছু সময় পর বাবা মাহমুদুল হাসান (৩৬), মেয়ে মাইশা (১১) ও ছেলে মোত্তাকিমকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের বাসা উত্তরার ১৭ নম্বর সেক্টরে। তারা মার্কেটের আন্ডার গ্রাউন্ডে বসে ইফতার করছিলেন। এ সময় মাহমুদুল হাসান তার দুই সন্তানকে নিয়ে বের হতে গেলে আগুনে দগ্ধ হন। বাবা ও ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল। এ ছাড়া মামুন (২৪) নামের আরো একজন দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সোয়া ৬টার দিকে আলাউদ্দিন টাওয়ারের দোতলার লিফট হঠাৎ বিকট শব্দে নিচে পড়লে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় মার্কেটে অবস্থানরত ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা ছোটাছুটি করতে থাকেন। বিস্ফোরণে ভবনে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট, পরে আরো নয়টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলায়।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, রাত পৌনে ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের অপারেটর মাহমুদুল হাসান বলেন, নারীসহ চারজন মারা গেছেন। তবে পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিধান ত্রিপুরা বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।’